৭ মামলার আসামি জম সুমন ও ২৪টি মোবাইলসহ প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পাঁচটি লিখিত ষ্ট্যাম্প,৭টি চেক ও ২৪টি মোবাইল সেটসহ জিম্মি করে চাঁদা আদায়কারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত প্রতারক টিপু সুলতান চৌধুরী (৪৪) চাটখিল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ইউনুছ পাটেয়ারি বাড়ির মৃত আবদুল লতিফ চৌধুরীর ছেলে,প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য তাজনাহার আক্তার রত্না (৩৪) সদর উপজেলার পশ্চিম রাজারামপুর গ্রামের সেলিমের বাড়ির সোহেল রানার স্ত্রী ও অস্ত্রধারী মো.সুমন ওরপে জম সুমন (৩৬) সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামের মৃত আলী আজ্জম এর ছেলে।

শনিবার(১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সন্ত্রাসী জম সুমনকে জেলা শহর মাইজদী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহর মাইজদী বাজরের আমানিয়া হোটেল থেকে টিপু সুলতান চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে রত্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে গত কিছু দিন যাবত মাইজদী বাজার থেকে এক নারী তাকে চাকরি দিয়ে উপকার করার জন্য অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার ১২ মে বিকেলে দিকে আনোয়ার ওই নারীর সাথে দেখা করতে সদর উপজেলার খন্দকার পাড়ায় গেলে দুইজন পুরুষ তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে আটক করে মারধর করে।

ওই সময় একজন অর্ধউলঙ্গ নারীর সাথে তাকে অর্ধনগ্ন করে ছবি উঠিয়ে, ভিডিও ধারণ করে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদানের জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। একই সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও একটি স্বর্ণের আংটি রেখে দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত ১৩ মে ভিকটিম প্রতারকদের টাকা লেনদেনের বিষয়টি নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) অবহিত করলে ডিবি পুলিশ দুই প্রতারক গ্রেফতার করে।

অভিযানে লেনদেনের ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রতারকদের বাসা তল্লাশি করে ২৪টি মোবাইল সেট,বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ৭টি চেক, ৭টি লিখিত ষ্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। জানা যায় মহিলার স্বামী ও প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। গ্রেফতারকৃত টিপু চৌধুরী ব্যবহৃত মোবাইল সেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রেফতারকৃত মহিলার সাথে জোরপূর্বক অভিযোগকারীর আপত্তিকর স্থির চিত্র, ভিডিও চিত্র ধারণের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েররে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশ জানায়, সুধারাম মডেলা থানা পুলিশ রাত্রিকালীন দায়িত্ব পালনের সময় মাইজদী শহরস্থ মুক্তিযোদ্ধা কলোনী ও কেচ্ছা কলোনীর প্রবেশ পথ সংলগ্ন বাবুলের বাড়ীর পশ্চিম পাশে কাঁচা রাস্তার উপর থেকে রাত দেড়টার দিকে জম সুমনকে আটক করে। এসময় তার নিকট থেকে ১টি দেশীয় তৈরী এলজি ১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় অস্ত্র, মাদক, হত্যা, নারী নির্যাতন সহ ৭টি মামলা রয়েছে।

ইবাংলা/জেএন/ ১৫মে, ২০২২

Contact Us