কিউইদের দেয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অল-আউট হতে হয়েছে ৭৫ রানে। দলীয় ২৩ রানে লিটন দাসের ১৫ (১১) রানে বিদায়ের পর একের পর এক উইকেট দিতে থাকে বাংলাদেশ। আজাজ প্যাটেলের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পর পর মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সপ্তম ওভারে ১৫ রান করা নাঈম শেখকে বোল্ড করে ফেরান রাচীন রবীন্দ্র। দশম ওভারে আবারও প্যাটেলের জোড়া আঘাত। মাহমুদউল্লাহকে ৩ ও আফিফ হোসেনকে শূন্য রানে ফেরান সাজঘরে।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। একটা সময় শঙ্কা জেগেছিল নিজেদের সর্বনিম্ন রানে (৭০) অল-আউট হবার। সেই বাধা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত । সাইফউদ্দিন ৮ রান করে বিদায়ের পর সোহানকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন মুশফিক। সোহান ৮ রান করে ফিরলে শেষ আশাও ফিকে হয়ে যায়।
মুশফিক শেষ পর্যন্ত একা লড়াই করে ম্যাচটা নেন শেষ ওভার পর্যন্ত। মুশফিক ২০ রানে অপরাজিত থাকলেও ৫২ রানে হেরে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৭৬ রানের লজ্জা পেতে হলো বাংলাদেশকে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন আজাজ প্যাটেল। ৩ উইকেট নেন কোল ম্যাককনিক এবং ১টি করে উইকেট নেন রাচীন রবীন্দ্র, স্কট কুগ্লেইন ও গ্রান্ডহোম।
এর আগে দুপুরে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ব্যাট করতে নেমে ফিন অ্যালেন ১০ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ দিয়ে।
তবে নিউজিল্যান্ড যে দ্রুতই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে সেটা তাদের ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে অল-আউট হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৭ রানে শেষ করে ইনিংস।
আজ ওপেনিং জুটি ভাঙার পরও দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। চতুর্থ বলে উইল ইয়ং (২০) ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে (০) রানে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন।
ব্ল্যাকক্যাপস ওপেনার রাচীন রবীন্দ্রকে ২০ (২০) রানে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর টম ল্যাথামকে (৫) নিজের ক্যাচ বানান শেখ মেহেদী হাসান।
তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬৬ রান যোগ করেন টম ব্লান্ডেল ও হ্যানরি নিকলস। অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান ব্লান্ডেলের ৩০ ও নিকলসের ৩৬ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১২৮ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের পক্ষে ২/২৮ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজ ও মাহমুদউল্লাহ।
ইই