নোয়াখালীতে পৃথক দুটি ঘটনায় ১৪ বছরের জান্নাতুল ফেরদৌস রিয়া নামের এক কিশোরী প্রবাসীর মেয়ে ও এক ক্যাবল অপারেটরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস রিয়া (১৪) সোনাইমুড়ী উপজেলার মোটুবী গ্রামের মুন্সি বাড়ির সৌদি প্রবাসী জামাল উদ্দিনের মেয়ে এবং নিহত মো.আবুল কাসেম সোহাগ (২৬) কবিরহাট উপজেলার বড় রামদেবপুর গ্রামের মো.হাফিজ উল্যাহ ওরফে ছুট্টি মিয়ার ছেলে।
শনিবার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে প্রবাসীর মেয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ক্যাবল অপারেটরের মৃত্যুর ঘটনায় কবিরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়,গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার দিকে রিয়া পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহতের মা পারভিন ঘটনার সময় ছনগাও তাঁর বাবার বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিহতের মা বাড়িতে এসে মেয়েকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে মেয়ের শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে।
তাৎক্ষণিক পুলিশ এবং নিহতের পরিবার আত্মহত্যার কোন কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখে। শনিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
পুলিশ আরো জানায়,নিহত সোহাগ কুমিল্লা ক্যাবল অপারেটরের চাকরি করে। গত ১জুন সে বাড়ি বেড়াতে আসে। গতকাল শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বাড়ির বসত ঘরের পাশে থাকা মুরগীর ফার্ম থেকে ফ্রিজে বৈদ্যুতিক তার সংযোগ দেওয়ার জন্য, মুরগীর ফার্মের দিকে যাওয়ার পথে, পুকুর পাড়ের মাটিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে পা বিদুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় সে।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ ও কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তারা আরো জানায়,এসব ঘটনায় আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইবাংলা/টিএইচকে/৪ জুন,২০২২