দেশের ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার আলোচনার প্রেক্ষাপটে তিনি এ নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সব মন্ত্রণালয়ের তথ্য হালনাগাদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ব্যাংকিং খাতের বিষয় নিয়ে সভায় সরাসরি আলোচনা হয়েছে। ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স বিভাগকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। যেহেতু এটা নিয়ে চারদিকে এত কথাবার্তা উঠছে, আসল চিত্রটা কী, সেটা দেখে দ্রুত আমাদের জানাবেন তারা।
আরও পড়ুন…ইটভাটা আইন সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন
ইসলামী ব্যাংক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি শোনার পর আমি ইন্টারনেটে গিয়ে দেখলাম কয়েকটা ব্যাংকের ব্যাপারে ইউটিউবে বিভিন্ন রকম কথাবার্তা হচ্ছে। তবু এটাকে অবহেলা করা হয়নি
জঙ্গিরা কোনোভাবেই যেন কারো কোনো শেল্টার বা সহায়তা কিংবা কোনো আর্থিক সুবিধা নিতে না পারে- সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি রাখার জন্য সভায় সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সভায় বিশেষ করে জঙ্গির বিষয়ে একটু বিশেষ সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, পার্বত্য চট্টগ্রামে আপনারা দেখেছেন পুলিশ কিছু জঙ্গিকে চিহ্নিত করেছে এবং তার মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, বাকিরা পালিয়ে গেছে। অবস্থান চিহ্নিত করে তাদের আটক এবং জনগণকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া তারা যেন কোনোভাবেই কারো কোনো শেল্টার বা সহায়তা অথবা কোনো আর্থিক সুবিধা নিতে না পারে- সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
‘সম্প্রতি দুই জঙ্গি ছিনতাই হয়েছে’ -এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বুধবার এ বিষয়ে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ‘এখনও কেন ধরা পড়েনি’ -এ বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো তো আর খোলামেলা আলাপ করা যাবে না। বুধবার সব সংস্থার সঙ্গে বসে কীভাবে কী করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কাছাকাছি অনেক তথ্য একত্র করেছি।
আরও পড়ুন…ইবিতে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
দেশে খাদ্যের মজুত কোনোভাবেই যেন ১৫ লাখ টনের নিচে না নামে সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা খাদ্যের দিক দিয়ে স্বস্তিজনক অবস্থানে রয়েছি। এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ১৬ লাখ টন খাদ্য মজুত রয়েছে। বৈঠকে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কোনোভাবেই যেন খাদ্য মজুত ১৫ লাখ টনের নিচে না নামে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইবাংলা/জেএন/২৭ নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.