রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ব্লক রেইড শুরু হয়েছে। গুলশান, তেজগাঁও ও মতিঝিল বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে কয়েকটি স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বনানী থানার ওসি নূরে আযম মিয়া বলেন, কাকলি এলাকায় হোটেল ইনসাফ নামে আবাসিক হোটেলে জঙ্গি সদস্যরা অবস্থান করছে এমন সন্দেহে অভিযান চালানো হয়। এছাড়াও নাশকতা সন্দেহে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও মেসে অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এ কে এম হাফিজ আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশক্রমে আজ রাত থেকে রাজধানীতে ব্লক রেইড শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন…যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচরা
তিনি বলেন, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর গুলশানে অভিযান শুরু হয়েছে। একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মতিঝিল পুলিশ কাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর তেজগাঁও এলাকাতেও ব্লক রেইড চলছে।
এদিকে রাত ১০টার পর মতিঝিল দৈনিক বাংলা মোড়ে হোটেল রহমানীয়াতেও বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসির আরাফাত জানান, আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। দৈনিক বাংলার মোড় সংলগ্ন এই বহুতল ভবনের বার এবং আবাসিক হোটেল উপরতলায় রয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটতে পারে এমন কোনো ব্যক্তি বা অপরাধী আছে কী না তা নিশ্চিত হতে পুলিশের এই অভিযান।
গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশে বলা হয়, ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে পুলিশ। সব ইউনিট প্রধান ও জেলার পুলিশ সুপারদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। তবে ওই আদেশের সঙ্গে আজকের ব্লক রেইডের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের ২৯ নভেম্বরের আদেশে বলা হয়েছিল, ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বিবেচনায় এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন…বলিউড আমাকে সঠিক মূল্যায়ন করেনি
আদেশ অনুযায়ী আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে এমন স্থানে ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান করবে পুলিশ। এছাড়া অন্যান্য স্থানেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে।
ইবাংলা/জেএন/৩ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.