শীতকালে সাধারণত যেসব অসুখ শরীরে দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম নিউমোনিয়া। সঠিক সুরক্ষার অভাবে শিশু থেকে বয়স্ক— সকলে আক্রান্ত হতে পারে নিউমোনিয়ায়। মূলত ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে এই রোগ হয়। ফুসফুসে পানি জমেও হতে পারে নিউমোনিয়া। অল্প থেকে ক্রমশ গুরুতর আকার ধারণ করে এই রোগ। নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্ক না হলে অল্প থেকে ক্রমশ গুরুতর আকার ধারণ করতে শুরু করে এই রোগ।
ঠান্ডা লেগে বুকে ‘শ্লেষ্মা’ জমলে এই অসুখ ছড়ায়। তবে ঠান্ডা লাগলেই যে সবার নিউমোনিয়া হবে, এমনও নয়। বরং যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তারা বেশি আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন…এলপিজির দাম কমলো ৬৫ টাকা
নিউমোনিয়ার প্রাথমিক ও প্রথম লক্ষণ অস্বাভাবিক জ্বর। এই জ্বর ক্রমশ বাড়তে থাকা নিউমোনিয়ার অন্যতম উপসর্গ। সঙ্গে কাশি, বুক এবং মাথায় হালকা ব্যথা। এই লক্ষণগুলো দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিউমোনিয়া থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা।
১. ঝুঁকি এড়াতে নিউমোনিয়ার টিকা নিয়ে রাখতে পারেন। বয়স এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে নিউমোনিয়ার টিকা দেওয়া হয়। নিউমোনিয়ার টিকা দিয়ে রাখা জরুরি শিশুদেরও। টিকা দেওয়া থাকলে নিউমোনিয়ার সঙ্গে শীতকালীন বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকিও কম থাকে।
২. বাইরে থেকে ফিরে হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন। নিউমোনিয়া আটকানোর চেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় আর নেই। সর্দি-কাশিতে ভুগলে বার বার হাত ধুয়ে নিন। হাতে কোনো রকম জীবাণু জমতে দেবেন না। হাত না ধুয়ে মুখ, চোখ, নাকে হাত দেবেন না। খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
৩. শীতে গরম পোশাক পরে থাকার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন যাতে কোনোভাবে ঠান্ডা না লেগে। গরম পানি পান করুন। রাতে বাইরে বেরোলেও মাথা, কান মাফলারে মুড়িয়ে রাখুন।
৪. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। নিজেকে আর্দ্র না রাখলে যে কোনো অসুখ হানা দেবে শরীরে। সারা দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি খান। গরম পানিও খেতে পারেন। গলাব্যথা হলে স্বস্তি পাবেন।
আরও পড়ুন…আ.লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশে সুস্থ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে: শাহজাহান
৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খান। শীতকালে প্রচুর সবুজ শাকসবজি পাওয়া যায় বাজারে। প্রতিনিয়ত সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ খাবার শীতে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়।
ইবাংলা/জেএন/২ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.