জিততে প্রয়োজন ২ রান এবং সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ৩ রান। এক ছক্কায় দুই সমীকরণ মিলালেন বিরাট কোহলি। তার ৪৮তম সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ জয় তুলে নেয় স্বাগতিক ভারত। বৃহস্পতিবার পুনেতে জিতেছে ৭ উইকেট ব্যবধানে। তাতে হ্যাটট্রিক হারের তেতো স্বাদ পেল টাইগাররা।
প্রথমে ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন। দ্বিতীয় ইনিংসে নির্বিষ বোলিং। টিম টাইগার্সের দুই বিভাগের ব্যর্থতায় ভারত ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা তুলে নিয়েছে ৫১ বল হাতে রেখে। এর আগে, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধরাশায়ী হয় টাইগাররা।
আরও পড়ুন>> ২৫৬ রানে থামল বাংলাদেশ
রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান করেন দুই ভারতীয় ওপেনার- রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। ইনিংসের ১৩ ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে খেলতে নামা হাসান মাহমুদ। ৪৮ রান করা রোহিতকে শিকার বানান টাইগার পেসার। আরেক ওপেনার গিল থামেন হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। তাকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৫ বলে ৫৩ রান করেন গিল।
টাইগার স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হন শ্রেয়াস আইয়ার (১৯)। এরপর আর কোনো সাফল্য পায়নি টাইগার বোলাররা। কোহলি এবং লোকেশ রাহুলের অবিচ্ছিন্ন ৮৩ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় ভারতের। ৯৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৩ রানপ অপরাজিত ছিলেন কোহলি। ৩৪ বলে ৩৪ রান করেন রাহুল।
অথচ ভারত ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল রেকর্ড জুটি দিয়ে। তানজিদ হাসান এবং লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৩ রান। বিশ্বকাপে এটাই টিম টাইগার্সের সেরা ওপেনিং জুটি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তরুণ ওপেনার তানজিদ। ৫০-এর ঘরে খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি তানজিদ। ব্যক্তিগত ৫১ রানে আউট হন ১৪.৪ ওভারে। কুলদ্বীপ যাদবের স্পিনে এলবি হন তিনি।
নেতৃত্ব ভার নিয়ে খেলতে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ শান্ত। সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। ১৭ রান করা টাইগার অধিনায়ককে এলবি করেন আরেক ভারতীয় স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। পেসার মোহাম্মদ সিরাজের বলে ক্যাচ তুলে আউট হন ৩ রান করা মিরাজ। দ্রুত তিন উইকেট খুঁইয়ে লিটনের ব্যাটে আশা দেখছিল দল। কিন্তু পঞ্চাশকে একশতে রূপান্তরিত করতে পারেননি তিনি। আউট হন ৬৬ রান করে। তাকে শিকার বানান জাদেজা।
বড় জুটি গড়ে পারেননি দুই ভায়রা ভাই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহও। তবে তাদের কল্যানে শেষতক আড়াইশ ছাড়ায় দলীয় সংগ্রহ। মুশফিক করেন ৩৮ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়া মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। কিন্তু তাদের সেই লড়াই বৃথা যায় আরেকটি হারে।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.