স্যাটেলাইট ধ্বংসে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল নিক্ষেপ

মহাকাশে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। পরীক্ষামূলক এ মিসাইল নিক্ষেপ করে নিজেদের একটি স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছে দেশটি। তবে রাশিয়ার এই পরিক্ষাকে মোটেই সহজ ভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। পরিক্ষামুলক এ প্রক্রিয়াটিকে ‘বিপজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’বলে মন্তব্য করেছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, রাশিয়ার মিসাইল টেস্টের কারণে কক্ষপথে ১৫শ’ টুকরা বর্জ্য তৈরি করেছে। এ ছাড়া আরও হাজার-হাজার ক্ষুদ্র বর্জ্য তৈরি করেছে, যার কারণে মহাকাশে সব দেশের স্বার্থকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

রাশিয়ার অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল নিক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে অবস্থানরত ক্রুদের জীবন বিপণ্ন করে তুলেছে। ধ্বংস করা স্যাটেলাইট থেকে তৈরি বর্জ্যের কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ক্রুরা স্টেশনের ভেতরে ক্যাপসুলে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।

যদিও রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রাসকোসমস্ এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সংস্থাটি টুইটে জানিয়েছে, রাশিয়ার স্যাটেলাইট ধ্বংস হওয়ার পর যেসব টুকরা বর্জ্য তৈরি হয়েছে সেগুলো দ্বারা অন্য কিছুর ক্ষতি হয়নি। তবে যে জায়গাটিতে এটি ঘটানো হয়েছে সেটি এখনও দেখা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে গুপ্তচর স্যাটেলাইট হিসেবে এটি উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। এটির ওজন এক টনের মতো এবং অনেক আগেই স্যাটেলাইটটি অকেজো হয়ে যায়।

ভূপৃষ্ঠ থেকে স্যাটেলাইট ধ্বংস করার ক্ষমতা বেশ কিছু দেশের রয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এবং ভারত অন্যতম। কিন্তু এ ধরনের মিসাইল ছোড়া করা খুবই বিরল। কারণ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে মহাকাশে মারাত্মক দূষণ হয়।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

ইবাংলা/ টিপি/ ১৬ নভেম্বর,২০২১