তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নরসিংদীর বিভিন্ন ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার করিমপুর, নজরপুর, চিনিশপুরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবিদ্ধসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়াকে অবরুদ্ধ করে নৌকার প্রার্থী মুমিনুর রহমান আপেলের সমর্থকরা। এর জেরে দুপুর ১২টার দিকে নৌকার প্রার্থী আপেল করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে তাকে অবরুদ্ধ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। এ ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রায় ৮/১০ জন আহত হয়।
এদিকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চিনিশপুর ইউনিয়নের চিনিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক মো. সাঈদ আনোয়ার ও মেম্বার পদপ্রার্থী সায়েম ভূঁইয়াসহ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় পুলিশ ৪টি তাজা ককটেল উদ্ধার করে।
এ ছাড়া নজরপুর, আমদিয়া ইউনিয়নে বিক্ষিপ্তভাবে ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মোট ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ইবাংলা / টিপি/ ২৮ নভেম্বর, ২০২১