অনলাইন কেনাকাটায় কার্ডের ব্যবহার কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ই-কমার্স খাতে পণ্য কেনাকাটার পরিমাণ কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ বলছে, মাস ব্যবধানে এর পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

Islami Bank

ব্যাংকাররা বলছেন, সম্প্রতি ইভ্যালিসহ বেশকিছু পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কারণে লাখো গ্রাহক প্রতারিত হওয়ায় কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটায় ধ্বস নেমেছে। যা মানছেন ই-কমার্স খাত সংশ্লিষ্টরাও। তারা বলছেন, এ খাতে নৈরাজ্য বন্ধে, সরকারের সংস্থাগুলোর সাথে সাথে তারাও কাজ করছেন।

করোনার সময় দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকায় অনলাইনে পণ্য বিক্রি বেড়ে যায়। আর এই সুযোগে ই-ভ্যালিসহ বহু বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বড় ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রির ঘোষণা দেয়। পরে, এদের অনেকেই টাকা নিয়ে ভোক্তাদের পণ্য দিতে পারেনি। আবার কেউ কেউ গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েও গেছে।

এ ধরনের ঘটনায় অনলাইনে কেনাকাটায় বিমুখ হয়ে পড়েছেন গ্রাহকেরা। যার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য উপাত্তে। ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এ খাতে কমেছে কেনাকাটা। এক হিসাবে বলছে, এই পরিমাণ এক মাসের ব্যবধানে হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক মোর্শেদ বলছেন, সম্প্রতি ই-কমার্স খাতে বড় ধরনের অনিয়মের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে পুরো সিস্টেম।

one pherma

যা মানছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাব। সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দীন শিপন জানালেন, এই মুহূর্তে এ খাতে গ্রাহকদের আস্থা ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ।

ই-ক্যাবের পরিচালক আসিফ আহনাফ আরো জানালেন, ই-কমার্স খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে জুলাই মাস থেকে এসক্রো পদ্ধতি চালু হয়েছে। সেখানেও গ্রাহকদের ২১৪ কোটি টাকা আটকা পড়েছে।

বর্তমানে দেশে ই-কমার্সের আকার প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এই খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই ডিসেম্বরে গ্রাহক-ব্যাংক- ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে বড় ধরনের একটি বৈঠক করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ইবাংলা/জেডআরসি/২৮ নভেম্বর, ২০২১

Contact Us