রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে এসেছে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের আরও একটি দল। এটি জাতিসংঘের স্পেশাল টিম হিসেবেই চিহ্নিত।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) ওই টিমের সদস্যরা ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউএনএইচসিআরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধানের নেতৃত্ব ১৩ সদস্যের দলটি চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে এসে পৌঁছায়। এ নিয়ে ভাসানচরে বর্তমানে জাতিসংঘের ৩৭ জন কর্মকর্তার অবস্থান রয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা ভাসানচরে আসতে থাকায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবীর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভাসনচরমুখী নৌবাহিনীর জাহাজ ডলফিন তখনও কূল থেকে কিছুটা দূরে।
তারপরেও পল্টুনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে জাহাজে থাকা কর্মকর্তাদের স্বাগত জানান আগে থেকে অবস্থানরত কর্মকর্তারা। জাহাজ ঘাটে নোঙর করতেই একে একে নেমে আসেন ১৩ সদস্যের পুরো দল। আর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেন নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা। এ দলে রয়েছেন ইউএনএইচসিআর-এর ১২ জন এবং বাকি ১ জন ডব্লিউএফপির।
২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে রোহিঙ্গারা ভাসানচরমুখী হলেও জাতিসংঘের কোনো তৎপরতা ছিল না। পরবর্তীতে সরকারের সাথে চুক্তির পর গত ১ নভেম্বর ভাসানচরে আসে ২১ সদস্যের জাতিসংঘের প্রথম দলটি। বিদেশি বিভিন্ন মিশনের সদস্যরা আসায় নিরাপত্তাও জোরদার করা হচ্ছে ভাসানচরে। বৃহস্পতিবারই নিরাপত্তার বহরে যুক্ত হয়েছেন শতাধিক আনসার এবং এপিবিএন সদস্য। দ্বিতীয় পর্যায়ে সাত দফায় ১৯ হাজার রোহিঙ্গাকে আনা হয়েছে ভাসানচরে। আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে পর্যায়ক্রমে ভাসানচরে আনা হবে।
ইবাংলা /টিআর /৩ ডিসেম্বর ২০২১