বগুড়ার দুপচাচিয়ায় মুরগির খামারে প্যারাডাইস সান কোম্পানির রবি ফিড খেয়ে মারা গেছে প্রায় ৩ লাখ মুরগী। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।এতে খামার ও ফিড ব্যবসায়ী মো.আ: জলিল ব্যাপকভাবে ক্ষতির শিকার হন। সে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন জানান ইবাংলার প্রতিবেদককে।
তিনি বলেন, প্যারাডাইস সান কোম্পানী আমার ক্ষতির জন্য দায়ী। কোম্পানীর বরাবর ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার খামারবাড়ি ফার্মগেটে ল্যাবটেস্টে তা প্রমাণিত হয়েছে যে, প্যারাডাইস সান কোম্পানীর রবি ফিড অধিক পরিমাণ বিষাক্ত। আমার খামারের ৩ লাখসহ বগুড়ার বেশ কয়েকটি খামারের মুরগি মারা গেছে এই বিষাক্ত রবি ফিড খেয়ে। এ বিষয়ে তখন বেশ কয়েকটি পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে তার মধ্যে- দৈনিক প্রথম আলো, জনতা ও করতোয়া।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে সাকিব এন্টারপ্রাইজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আ: জলিল প্যারাডাইস সান কোম্পানীর রবি ফিডের ডিলার ছিলেন। তিনি বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে রবি ফিডের সাব-ডিলার দেন। এতে রবি ফিড খেয়ে একই ভাবে খামারের মুরগি মারা যাওয়ায় রবি ফিড নেয়া বন্ধ করেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্যারাডাইস সান কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়রানির উদ্দেশে সাকিব এন্টারপ্রাইজ এর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়। ক্ষতিপূরণ না দিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে প্যারাডাইস সান কোম্পানী।
জলিল বলেন, সরলতার সুযোগ নিয়ে প্যারাডাইস সান কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুপ কুমার আমার ব্যবসায়ীক ডিলারদের নিকট থেকে জমা রাখা চেকগুলো চুক্তিনামার মাধ্যমে কৌশলে হাতিয়ে নেয়। তারপর চেক ডিজঅনার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে জানান তিনি।
নিম্নে চেক জিম্মানামা ইবাংলার পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘আমি নিন্মস্বাক্ষরকারী প্যারাডাইস সান কোম্পনী লি: হাতিমারা, কাশিমপুর, গাজীপুর- এর কোম্পানীর ডিলার মো: আব্দুল জলিল, প্রো: সাকিব এন্টারপ্রাইজ পিতা- মৃত ইমান আলী, সাং- দুপচাচিয়া জয়পুর পাড়া, থানা-দুপচাচিয়া, জেলা বগুড়া এর নিকট থেকে স্বাক্ষর যুক্ত নিম্ন লিখিত চেকগুলি গ্রহণ করিলাম। চেক হারিয়ে যাবে তদুপরি আপনার অবর্তমানে পাওনা আদায়ের স্বার্থে চেকগুলি গ্রহণ করিলাম। চেকগুলিতে টাকার অংক ও তারিখ লেখা নাই। কোম্পানি আপনার জীবদ্দশায় লেকগুলো ব্যবহার করবে না। চেকগুলির মালিকের সাথে কোম্পানীর ব্যবসা কিংবা লেনদেন নেই কোম্পাণী তাদের কাছে কোন টাকা পাবে না। তবে আপনি চাইলে যে কোন সময় আমি চেকগুলি আপনাকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিব মর্মে অত্র জিম্মানামায় স্বাক্ষর করলাম। স্বপন কুমার আচার্য্য, চেয়ারম্যান প্যারাডাইস সান কোম্পনী লিঃ।’
এসকল বিষয় প্যারাডাইস সান কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুপ কুমারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ইবাংলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।উল্লেখ্য, আট ব্যাংকের চেকগুলির মালিকের সাথে প্যারাডাইস সান কোম্পনী লি: কোনও লেনদেন নেই।
ইবাংলা / নাঈম/ ৯ ডিসেম্বর, ২০২১