তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর ডা. মুরাদ হাসান কানাডায় চলে গেলেন। বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন মুরাদ।
মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। এত দ্রুত কীভাবে তিনি কানাডার ভিসা পেলেন? তার কাছে কি আগেই কানাডার ভিসা ছিল? কোন পাসপোর্ট নিয়ে তিনি কানাডায় গেলেন? এমন নানা প্রশ্ন উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মুরাদের এত দ্রুত দেশত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওকত আলী সাগর। বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আচ্ছা, ডা. মুরাদ চাইলেন আর অমনি টিকিট কেটে কানাডার উদ্দেশে প্লেনে চড়ে বসলেন! বিষয়টা এত সহজ হলো কেমনে?
বাংলাদেশের কতজন মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী আগে থেকেই এ ধরণের ব্যবস্থা করে রেখেছেন? যারা বড় বড় কথা বলেন, তাদের সবারই কী এ রকমের আরেকটা জায়গা ঠিক করা আছে- যে চাইলেই লাফ দিয়ে সেখানে চলে যেতে পারবেন?
তিনি আরও লিখেন, ‘ডা. মুরাদ কয়েক মাস আগে কানাডা এসেছিলেন, তখন তিনি প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি সরকারি পাসপোর্টে ভ্রমণ করেন। তার ব্যক্তিগত পাসপোর্টেও কী কানাডার ভিসা আগে থেকেই ছিল? তিনি কী দুটি পাসপোর্টই ব্যবহার করতেন! সেটি কী তিনি পারেন? তা না হলে হুট করেই তিনি কানাডার ভিসা পেয়ে গেলেন কীভাবে?’
একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকায় ডা. মুরাদ লাল পাসপোর্ট বহন করতেন। এখন প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও তিনি সংসদ সদস্য পদে বহাল আছেন। সে কারণে তিনি এখনো লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন।
বিদেশে সরকারি সফরে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করলেও, সেজন্য জিও (সরকারি আদেশ) প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর সংসদ সদস্যদের লাল পাসপোর্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালে সংসদের অনুমতির প্রয়োজন হয়ে থাকে। এখন যেহেতু সংসদ অধিবেশন চলছে না, সে কারণে সংসদ সদস্য হিসেবেও লাল পাসপোর্ট নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান দেশ ত্যাগ করতে পারেন।
ইবাংলা / নাঈম/ ১০ ডিসেম্বর, ২০২১