গভীর রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসানকে ঢুকতে দেয়নি দেশটি। উত্তর আমেরিকার একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়। নতুন দেশ নামের ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুরাদকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পালিয়ে কানাডায় গেলেন মুরাদ
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কানাডায় বসবাসরত মুরাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও কানাডার সরকারি সূত্র থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) সাথে যোগাযোগ করেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে সদ্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান বৃহস্পতিবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে ৮৫৮৫ ফ্লাইটে করে কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মুরাদ হাসানের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন (৭ ডিসেম্বর) নিজের হাতে নিয়ে গেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডা. মুরাদের দেশত্যাগের চেষ্টা!
উল্লেখ্য , সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে মঙ্গলবারের (৭ ডিসেম্বর) মধ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয় ।
এর আগে, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করায় বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুরাদ হাসানের পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধী দল বিএনপি। এছাড়া নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের কারণে তার পদত্যাগ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন নারী অধিকার কর্মীরাও।
ইবাংলা /টিপি /১১ ডিসেম্বর ২০২১