এশিয়ার বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি নির্মিত হচ্ছে উখিয়ায়

জেলা প্রতিনিধি,কক্সবাজার

১৩০ ফুট দৈর্ঘের বুদ্ধমূর্তি নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়ায়। উখিয়ার কেন্দ্রীয় আনন্দ ভবন বিহারের মাঠে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় গৌতমবুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ বুদ্ধমূর্তি নির্মানের কাজ চলছে। আর এই স্থাপনা নতুন এক পর্যটন সম্ভাবনা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ স্থাপনকারীদের।

Islami Bank

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, মহামতি বুদ্ধ আজ থেকে দুই হাজার ৫০০ বছরেরও আগে ভারতের কুশীনগরে দেহত্যাগ করেছিলেন যেই শয্যায়, সেই শয্যার নকশাতেই নির্মাণ করা হচ্ছে ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য আর প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার এই মহাপরিনির্বাণ মূর্তি। দেশে তো বটেই এশিয়াতেও এটি হবে অন্যতম বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি। ২০১৭ সালে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ, রংসহ বাকি কাজ শেষে ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হতে পারে।

স্থানীয় শফিক আজাদ বলেন, এটি এশিয়ার বৃহত্তর বুদ্ধমূর্তি। আগে কক্সবাজার রামুতে ১১০ ফুটের ছিল। এটাই দেশের ১ম হচ্ছে ১৩০ ফুট। যদি সঠিকভাবে মূর্তিটি সম্পর্কে উপস্থাপন করা হলে দেশের পর্যটনখাতে ভূমিকা রাখবে।

one pherma

মাস্টার আশিষ শার্মা বলেন, এবার বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে এশিয়ার বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশের বিপুলসংখ্যক পূজারী, পুণ্যার্থী, পর্যটক ও দর্শনার্থীর জন্য এটি অনেক বড় পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে। আমরা যদি ভালোভাবে প্রচার করতে পারি তাহলে এটাই সম্ভব।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, এই মূর্তির কাজ প্রায় শেষ। এটি নির্মাণকাজ শেষ হলে বিদেশি পর্যটকরও পূজারীদের আকর্ষণ করবে। এটি উখিয়ার আরেকটি ঐতিহ্য বহন করবে। এটার নির্মাণকাজের জন্য যতটুকু হেল্প করা দরকার আমরা করে যাব।

মূর্তিটির প্রতিষ্ঠাতা ও উখিয়ার আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাবোধি মহাথেরো ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৭ সালে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ, রংসহ বাকি কাজ শেষে ২০২২ সালে উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে। মূর্তিটির পুরো কাজ শেষ করতে প্রয়োজন আরও দেড় কোটি টাকা। উদ্বোধনের পর ২০২৩ সালে এটি উৎসর্গ অনুষ্ঠানও করা হবে।

ইবাংলা / টিপি/ ২১ডিসেম্বর, ২০২১

Contact Us