করোনা মোকাবেলায় ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল কোভিড-১৯ পিল ব্যবহার অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিতে থাকা ১২ বছর বয়সী ও তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এ পিল ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। এই অনুমোদনের ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার একটি উপায় হল। এটি দ্রুত ছড়াতে থাকা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও একটি নতুন অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল পিল ‘প্যাক্সলোভিড’ গুরুতর অসুস্থতার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা ও মৃত্যু প্রতিরোধে প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে কোম্পানিটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য থেকে জানা গেছে। গবেষণাগার থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্যে ওষুধটি ওমিক্রণের বিরুদ্ধেও এর কার্যকারিতা ধরে রাখে এমন ধারণা পাওয়া গেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখনই সরবরাহ করতে প্রস্তুত তারা।
জনস হপকিন্স ইনস্টিটিউট ফর হেলথ সিকিউরিটির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী আমেশ আদালজা বলেছেন, “প্যাক্সলোভিডের অনুমোদন আরেকটি বড় মাইলফলক। কোভিড-১৯ কে আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার পথে এটি আরেকটি পদক্ষেপ।”
ফাইজার বলেছে, চলতি বছর তারা ১ লাখ ৮০ হাজার ট্রিটমেন্ট কোর্স সরবরাহের জন্য প্রস্তুত আছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ওষুধটির ১ কোটি কোর্স, প্রতিটি ৫৩০ ডলারে কেনার চুক্তি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে থাকায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও টিকাদান কর্মসূচী পরিচালনা ও কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্র করার ঘোষণা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেই দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন জরুরিভিত্তিতে কোভিডের ওরাল পিলের অনুমোদন দিয়েছে।
ইবাংলা/টিপি/২৩ ডিসেম্বর, ২০২১