শীতের সবজি বলতে যেগুলোর কথা মাথায় আসে, তার মধ্যে অবশ্যই থাকে বাঁধাকপি। কেউ বলে পাতাকপি, কেউবা বাঁধাকপি। তবে নামে নয়, গুণে পরিচয় এই সবজির। নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই বাঁধাকপি কিন্তু হালের কোনো সবজি নয়, বরং এর চাষ হয়ে আসছে চার হাজার বছর ধরে। চীন, মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপ আর মেসোপটেমিয়ায় বাঁধাকপি আবাদের ইতিহাস মেলে।
বাঁধাকপি খাওয়া যায় কাঁচা, রান্না করে ও শুকিয়ে। এর পুষ্টিগুণও কোন পদ্ধতিতে খাওয়া হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে। এক কাপ আধা সেদ্ধ বাঁধাকপিতে পাওয়া যায় আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সির তিন ভাগের এক ভাগ।
এতে ম্যাঙ্গানিজ, ডায়াটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন এ থাকায় শরীরে ছোট-বড় কোনো রোগকেই ধারে কাছে ঘেঁষতে দেই না।
বাঁধাকপিতে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস কোষকে সজীব রাখে, কোষের প্রদাহ দূর করে, ফোলা কমায়; যা ক্যানসার, হার্টের অসুখ, ডায়বেটিস প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে বলে মনে করা হয়।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকায় এই সবজিটি নিয়মিত খেলে ব্রেন পাওয়ারও বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে নার্ভের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। এর ফাইবার হজমে সহায়তার পাশাপাশি পাকস্থলী ও অন্ত্রের ভেতরের অংশকে শক্তিশালী করে এবং পাকস্থলীর আলসার নিরাময় করে।
আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে বাঁধাকপি হয়। তাই পুষ্টির জন্য বেশি বেশি খেতে পারি এই সবজি। শীতকালজুড়ে রাখতে পারি সালাদে। আর এই বাঁধাকপি দিয়ে নানা ধরনের পদও রান্না হয়ে থাকে।
ইবাংলা /টিআর/২৭ ডিসেম্বর