বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সমাবেশ। এমন পরিস্থিতিতে সকাল ছয়টা থেকে হঠাৎ করে আট ঘণ্টার জন্য জেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএনপির নেতারা বলছে, তাদের সমাবেশে লোক সমাগম ঠেকাতে এমনটা করা হয়েছে। আর বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার জেরে বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। তিনি জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছে। বিএনপির অভিযোগ, সমাবেশে লোক সমাগম ঠেকাতে জেলার সব রুটে বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য এটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।
এদিকে বাস বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন; তাঁরা অটোরিকশা, ভ্যান, ভটভটিতে করে ভেঙে ভেঙে অনেক দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরিবহন বন্ধ করা মানে সমাবেশ হবে না—এটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। হঠাৎ পরিবহন বন্ধ রাখা মানে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। সকাল থেকে কোনো জেলা-উপজেলা থেকে মানুষকে শহরে ঢুকতেও দিচ্ছে না।’ এরপরও বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে মানুষের ঢল নামবে বলে মনে করেন তিনি।
ইবাংলা /টিআর /৩০ ডিসেম্বর