রাজধানীর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা সোমবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে নয়টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দেশের সব শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা পাবে। তারা স্কুলের আইডি কার্ড দেখিয়েই টিকা নিতে পারবে।
স্কুলে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নিতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দিচ্ছে সরকার। আপাতত নয়টি টিকাকেন্দ্র দিয়ে শুরু হলেও পরে আরো বাড়ানো হবে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৭ জনের। বাকিদের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীর দাবি, রাজধানীতে মাধ্যমিকের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। সোমবার থেকে দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। যারা প্রথম ডোজ পায়নি তারা বনানীর চিটাগং গ্রামার স্কুল কেন্দ্র থেকে নিতে পারবে।
এদিকে সব শিক্ষার্থী যাতে টিকা নিতে পারে এবং ভোগান্তিতে না পড়ে সেদিকে নজর রাখার তাগিদ গবেষকদের। স্কুল খোলা রাখতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরের দিকে তা কিছুটা শিথিল করে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা জন্মসনদ দেখাতে পারলেই টিকা পাবে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ সামনের দিকে অনেক বাড়তে শুরু করবে এমন আশঙ্কা থেকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া হয় যে, দেশজুড়ে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এক ডোজ টিকা নেয়া না থাকলে শিক্ষার্থীরা সশরীরে ক্লাসে যেতে পারবে না বলেও জানানো হয়। এর আগে গত বছর নভেম্বরের এক তারিখ ঢাকায় ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরে জানুয়ারিতে সেটি আরো সম্প্রসারণ করা হয়।
ইবাংলা / নাঈম/ ১৬ জানুয়ারি, ২০২২