বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে বিশ্বে বিভিন্ন দেশে অপরিণত শিশু জন্মের হার বেড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। এছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণতায় জটিল নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও ব্যাপক হারে বেড়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নারীদের ঋতুচক্রে পরিবর্তন হওয়ায় তাদের প্রজনন ক্ষমতা আট থেকে ১৪ শতাংশ কমেছে বলে গবেষনায় তুলে ধরা হয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে আর্কটিক ও অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের বরফ গলা এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার তারা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে মাতৃগর্ভেও। ভ্রুণ পরিণত হওয়ার আগেই জন্ম নিচ্ছে শিশু। একইভাবে নবজাতক এবং শিশুদের স্বাস্থ্যেরও বড় ক্ষতি হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ইসরায়েল, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে পরিচালিত ৬টি নতুন গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড পেরিনেটাল এপিডেমিওলজি’র বিশেষ ইস্যুতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাগুলো।
উষ্ণায়নের হার বেশি এমন অঞ্চলে ১৬ শতাংশেরও বেশি নবজাতক অপরিণত অবস্থায় বা বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয়।
জন্মের প্রথম বছরে শিশুর ওজন বাড়ার সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্পর্ক খুজে পেয়েছেন ইসরায়েলের গবেষকরা। ভবিষ্যতে স্থূলকায় হওয়ার ঝুকিতে রয়েছে তারা। আক্রান্ত হতে পারে জটিল সব রোগে। বিভিন্ন দেশে তীব্র গরমের সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শিশুদের ভর্তির হার বেড়ে যায়।
সন্তান ধারণের সামান্য আগেও দাবানলের ধোয়ার সংস্পর্শে আসলে নারীদের শারীরিক জটিলতার আশঙ্কা দ্বিগুণ বাড়ে। এর ফলে ‘গ্যাস্ট্রোস্কাইসিস’ নামে একটি রোগের শিকার হচ্ছে সদ্যোজাত শিশুরা।
ইবাংলা /টিপি/ ১৮ জানুয়ারি, ২০২২