জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর দুই মাসের মাথায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে গ্যাস বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সপ্তাহে দ্বিগুণের বেশি দাম বাড়ানোর প্রস্তাবপত্র জমাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ‘দায়সারা’ সেই প্রস্তাব বিধিসম্মত না হওয়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্রহণ করেনি।
দেশে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রস্তাবে বাসাবাড়ির দুই চুলার মাসিক বিল হবে দুই হাজার ১০০ টাকা, যা বর্তমানে ৯৭৫ টাকা। অন্যদিকে এক চুলার মাসিক বিল হবে দুই হাজার টাকা, যা বর্তমানে ৯২৫ টাকা।
এ ছাড়া শিল্প খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা এবং ক্যাপটিভে (শিল্পকারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস) ১৩ টাকা ৮৫ পয়সার স্থলে ৩০ টাকা করার প্রস্তাব করে একাধিক বিতরণ প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: দুই চুলা ২১০০ করতে প্রস্তাব বিইআরসি’র
গত সপ্তাহে তিতাস, বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) পৃথকভাবে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। এ সপ্তাহে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রস্তাব জমা দেবে। পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
মূলত ‘ভর্তুকির চাপ’ সামলাতে গত মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার-সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল। এরপর ৩ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে পাঠানোর জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দেয়।
পরে পেট্রোবাংলা থেকে আমদানি করা এলএনজি ও দেশীয় গ্যাসের দাম, ভ্যাট-ট্যাক্স, বিভিন্ন তহবিলের চার্জ ধরে একটা খসড়া হিসাব বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫ জানুয়ারি পাঠানো হয়। এরপর বিতরণ কোম্পানিগুলো নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসাব উল্লেখ করে প্রায় একই ধরনের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে পাঠায়। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলো নিজেদের পরিচালন ব্যয় (মার্জিন) বৃদ্ধিরও প্রস্তাব দিয়েছে।
ইবাংলা /টিআর / ১৯ জানুয়ারি