দেশের বিভিন্ন স্থানে পশ্চিমা লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় শুরু হওয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আরো দুই দিন অব্যাহত থাকবে। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হাওয়ায় শীতের অনুভূতি একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এমন আবহাওয়া আরো দুয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। এবার মাঘের শুরুতে পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলে তিন-চার দিন ধরে। মাসের শেষ দিকে ফের শীতের প্রভাব বাড়বে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে কোনোটিই তিন-চার দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন।
উল্লেখ্য, গতকাল (রোববার) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সীতাকুণ্ড ও শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঢাকায় ১৫ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৬, সিলেটে ১৩ দশমিক ৫, রাজশাহী ১৩ দশমিক ৭, রংপুরে ১৩ দশমিক ৪, খুলনায় ১৪ দশমিক ৮ এবং বরিশালে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
ইবাংলা / নাঈম/ ২৪ জানুয়ারি, ২০২২