প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুই ধাপে বন্ধ রাখা হয় জাতীয় চিড়িয়াখানা। এতে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে সেখানে হরিণ ও ময়ূরসহ অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে। তার মধ্যে থেকে ১৩ মাসে হরিণ ও ময়ূর বিক্রি শুরু করে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আয় করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেড় শতাধিক হরিণ ১ কোটি ১০ লাখ এবং ৭০টি ময়ূর ২৪ লাখ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। খামারি ও মালিকনা রিসোর্টে এগুলো বিক্রি করা হয়।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আবদুল লতিফ বলেছেন, হরিণ-ময়ূর বাইরে বিক্রি না করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানার সঙ্গে বিনিময়ের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চিড়িয়াখানা তো প্রজননকেন্দ্র নয়। বিক্রি করাও আমাদের লক্ষ্য নয়। হরিণের সংখ্যা অতিরিক্ত হয়েছিল। সংস্থানের ব্যবস্থা, ব্যবস্থাপনা, খাদ্যের বাজেট সবকিছু মিলিয়ে অতিরিক্ত চাপ ছিল। সেজন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে প্রাণী বিক্রি করা হয়েছে।
আবদুল লতিফ বলেন, হরিণ ও ময়ূর কেনার প্রচুর আবেদন পাচ্ছি। তবে ময়ূর বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। প্রাণীর প্রজনন সংখ্যা বাড়লে আবার বিক্রির ভাবনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, খামারি বা রিসোর্টের মালিকের কাছে হরিণ ও ময়ূর বিক্রি শেষে সংশ্লিষ্ট থানা অফিসার, জেলা অফিসারকে জানানো হয়। যাতে তত্ত্বাবধান সঠিকভাবে করতে পারেন। অসুখ হলে সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিতে পারেন।