আজ চুম্বন দেওয়া-নেয়ার দিন; অর্থ্যাৎ কিস যে। নর-নারীর স্পর্শের শ্রেষ্ঠতম নিষ্কলুষ আনন্দ-অনুভূতি হচ্ছে চুম্বন। সাহিত্য, শিল্প, চলচ্চিত্র, গল্প ও উপন্যাসেও রয়েছে চুমুর ব্যবহার। নারী পুরুষের মনস্তত্ত্বের সঙ্গেও রয়েছে এর অচ্ছেদ্য বন্ধন।
পাঁচ মিনিট টানা চুমু খেলেই ঝরবে মোটামুটি ১০ মিনিট ট্রেডমিলে ছোটার সমান ক্যালোরি। তবে নিয়মিত চুমু খেলে লাভই বেশি। জেনে নিন চুমুর উপকারিতা-
* চুম্বনে মানসিক চাপ কমে যায় অনেকখানি, এমনটাই বলছে বিজ্ঞানীরা। শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসরণ করে। এ সেই হরমোন, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবৃত্তি কমিয়ে দেয়।
* যৌন মিলন যে স্বামী-স্ত্রীকে শারীরিক আনন্দ দেয় এটি নতুন করে বলার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। তবে চুমু তাদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
* চুমু যে কোনো সম্পর্ককে আরও গভীরে যেতে সাহায্য করে। ঠোঁটে চুমুতে শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়। ফলে প্রিয়জনের একটা গন্ধ পাওয়া যায়। সেখান থেকেই তৈরি হয় গভীর বন্ধন। এছাড়াও মন তরতাজা থাকে।
* নিয়মিত চুম্বনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
* চুমু মানুষের চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় রাখে। যদিও এর কারণে শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় হয় তারপরও এটি মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারি।
* নিয়মিত চুম্বন দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
* চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে স্নায়ু শান্ত হয়।
* চুমু খাওয়ার সময় হৃৎপিণ্ড অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠায় ব্যায়ামও হয়। ফলে রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
* যারা নিয়মিত চুমু খান, তাদের অনিদ্রার সমস্যা হয় না।
ইবাংলা/ নাঈম/ ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২