মোংলা বন্দরের শিল্পাঞ্চলে প্রস্তাবিত পাওয়ার হাইজ কোম্পানির ভূমি অধিগ্রহনে জালিয়াত চক্রের খপ্পরে পড়েছে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ডরিন পাওয়ার হাউজ এন্ড টেকনোলোজিস নামক একটি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে জালিয়াত চক্র হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির এক কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা।
ভুয়া দাতা সাজিয়ে দলিল করে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের মূলহোতা মোংলা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম কে ইতিমধ্যে জালজালিয়াতির জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মোংলা উপজেলা সাবরেজিষ্টার। তবে অদৃশ্য কারনে এখনো তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। বাতিল করা হয়নি তার দলিল লেখার সনদ। এ নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে।
জানা যায়, গেল ১৫ ডিসেম্বর মোংলার সান বান্দা এলাকার ৩৫ বিঘা ভূমি সাব রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে খরিদ করেন ডরিণ পাওয়ার হাউজ এন্ড টেকনোলোজিস নামক প্রতিষ্ঠানটি। দাতা হিসেবে জনৈক আবদুল সাত্তার হাওলাদার নামক এক ব্যাক্তি ওই দলিলে সাক্ষর করেন। কিন্তু জায়গাটির প্রকৃত মালিক আবদুস সাত্তার মিয়া।
ডরিণ পাওয়ার হাউজ কোম্পানীর পক্ষে দলিল লেখা ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই এবং প্রকৃত মালিক শনাক্ত করনের দায়িত্ব পালন করেন,মোংলা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম। আর প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে জমির মূল্য পরিশোধ ও মূল্য চূড়ান্ত করনের দায়িত্ব পালন করেন,সৈয়দ মুসা আমির আলী নামক বাগেরহাটের এক বাসিন্ধা।
দলিল গ্রহনের পর যখনি প্রতিষ্ঠানটি জমি দখল করতে যান তখন জানা যায় জালজালিয়াতির বিষয়টি। এসব জালিয়াতির কারনে দলিল লেখক আবুল কালাম কে লিখিত ভাবে শোকজ করেন, মোংলা উপজেলা সাব রেজিষ্টার জোবায়ের হোসেন।,জালজালিয়াতির বিষয়ে মুহুরী আবুল কালামের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে(০১৭১৩৯১৪৫২২)সোমবার দুপুর থেকে ৪ ঘটিকা পর্যন্ত কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
তবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জমি খরিদ করনের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ মুসা আমির আলী জানান,প্রতারনার ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার(মোংলা সার্কেল ) এর দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।তবে তিনি অভিযোগ করেন,মুহুরী আবুল কালাম এ ঘটনায় দায়ী।
এ দিকে মুহুরী আবুল কালামের নামে এমন নানা অভিযোগ আছে বলে দাবী করেন,স্থানীয় বাসিন্ধা মোঃ শাজাহান সিদ্দিকী।তিনি বলেন,দলিল লেখার নামে তারা নানা প্রতারনা করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।স্থানীয় অনেক বাসিন্ধারা দাবী করেন,ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা না নিলে মোংলার শিল্পাঞ্চলে নতুন শিল্পকারখানা তৈরী করবেনা না শিল্প মালিকরা।তাই আবুল কালামের বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এ বিষয়ে প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী মঞ্জুরুল নাসিম জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান টাকা দিয়ে ভূমি খরিদ করেছে। খরিদ কাজে জড়িত সৈয়দ মুসা আমীর আলী ও দলিল লেখক আবুল কালাম কে হেড অফিসে তলব করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় মোংলার অন্য কোন ব্যাক্তি জড়িত নয় বলে তিনি দাবী করেন তিনি|
ইবাংলা/ ই/ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২