ইউক্রেনের ১১ বিমানঘাঁটিসহ ৭৪ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় বাহিনী বৃহস্পতিবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভের উত্তর উপকণ্ঠে একটি বিমান ঘাঁটির জন্য পাল্টা পাল্টি লড়াই করছিল। কয়েক ডজন হামলার পর বেলারুশ থেকে ইউক্রেনের রাজধানী অভিমুখে আসতে শুরু করে হেলিকপ্টার। রাশিয়ান বিমানবাহী সেনারা গোস্টোমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, গোস্টোমেলে শত্রু প্যারাসৈন্যদের অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং তাদের ধ্বংস করতে সৈন্যদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকরা উত্তর দিক থেকে হেলিকপ্টারগুলোকে শহরের ওপর দিয়ে উড়তে দেখেছিলেন। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, গোস্টোমেল বিমানঘাঁটির জন্য লড়াই চলছে।
গোস্টোমেল বিমানঘাঁটি আন্তোনভ বিমানবন্দরের পাশে কিয়েভের ঠিক উত্তর প্রান্তে। রাশিয়ান বাহিনী তাদের আক্রমণের প্রথম দিনেই ইউক্রেনের রাজধানীর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার কিছু আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার ঘোষণা দেন। ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের লক্ষ্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘গণহত্যা’ থেকে রক্ষা করা পাল্টাপাল্টি এ হামলায় উভয় পক্ষের সামরিক সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকসহ ১০০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অন্য এক খবরে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের ১১টি বিমানঘাঁটিসহ ৭৪টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইবাংলা/ ই/ ২৫ ফেব্রেুয়ারি, ২০২২