বিচার ব্যবস্থায় বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে দণ্ডবিধি, দেওয়ানি-ফৌজদারী কার্যবিধি, তামাদি আইন, সাক্ষ্য আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনসহ মৌলিক আইনগুলো বাংলায় নির্ভরযোগ্য (অথেনটিক টেক্সট) অনুবাদের পাশাপাশি তা পাঠ উপযোগী করে প্রকাশের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আইন মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছেন, বাংলা একাডেমি, আইন কমিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ, বাংলা বিভাগের প্রতিনিধি ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সমন্বয়ে এ কমিটি করতে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রণীত বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭’র কার্যকর বাস্তবায়নে প্রচলিত মৌলিক আইনগুলো বাংলা ভাষায় নির্ভরযোগ্য অনুবাদের পাশাপাশি পাঠ উপযোগী করে তা প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।