ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই নজরদারিতে ছিল ব্লক হওয়া গণমাধ্যমগুলো। বন্ধ করে দেয়া সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল বা অনলাইন মাধ্যমগুলোর গ্রাহক ছিলেন কমপক্ষে দেড় কোটি মানুষ। রোববার (২০ মার্চ) দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ইন্টারফেক্স ইউক্রেন।
পুলিশের দাবি, ৩ হাজার ১৭৮টি খবর চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো যুদ্ধাপরাধকে ন্যায্যতা দিয়েছে। তাছাড়া, গোপন করেছে বেসামরিক ইউক্রেনিয়ানদের মৃত্যুর তথ্য। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম ব্যবহারকারী এবং গোয়েন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই নেয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৪০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৮৪৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
ইবাংলা /জেএন / ২০মার্চ ২০২২