লম্বা একটা ঘুম দেওয়ার জন্য শুয়ে পড়লেন বিছানায়। কিন্তু ঘুম আসছে না কিছুতেই। বহু লোকেরই এ সমস্যা পড়ে, কোনো না কোনো সময়। সুতরাং কীভাবে নিজের মনকে চাপমুক্ত করে ঘুমের জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়?
আমরা সবাই জানি, ভালো ঘুম আমাদের শরীর ও মন সতেজ করে। এ রকম ঘুমের পর জেগে উঠে যেন ফিরে পাই নতুন জীবন। অন্যদিকে ঘুমের অভাব আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন যকৃত, বৃক্ক ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। তাই আমাদের কর্মদক্ষতা, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, সর্বোপরি কাজের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হিসাব-নিকাশ করে ঘুমানোর বিকল্প নেই।
ঘুমের কার্যকর :
প্রথমত, আপনার ঘুমানোর সময় নির্দিষ্ট করে ফেলুন। রাত ১০ টা থেকে ১১ টার ভেতর হলে সবচেয়ে ভালো। একবার সময় ঠিক করে ফেললে মন শক্ত করে বোঝান, আপনার দিন রাত ১০টা বা ১১টাতেই শেষ। যাই ঘটুক, আপনার দিনের সব কাজ ওই সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। ২ ঘণ্টা বেশি রাত জেগে কোনো কাজ করার চেয়ে দুই ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠে সেই কাজ আরও ভালোভাবে করা যায়।
দ্বিতীয়ত, আপনার শয়ন কক্ষের দরজা জানালার পর্দা এমনভাবে বেছে নিন, যাতে ঘুমানোর আগে পুরো ঘর নিকষ কালো অন্ধকারে রূপ দেওয়া যায়। আর তা সম্ভব না হলে কালো আই প্যাচ বা চোখ ঢাকা পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, আলোর উপস্থিতি গভীর ঘুম ব্যাহত করে।
তৃতীয়ত, ঘুমানোর সময় আপনার মোবাইল ফোন বিছানা থেকে দূরে রাখুন। ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে সবরকম ইলেক্ট্রনিক স্ক্রিন যেমন টিভি, কম্পিউটার বা মোবাইল দেখা থেকে বিরত থাকুন। জানি, এই কাজ বেশ কঠিন। তাই ঘুমানোর আগে মাঝে মাঝে মোবাইল বা কম্পিউটার যদি দেখতেই হয়, তবে স্ক্রিনের আলো ও উজ্জ্বলতা কিছু সফটওয়ারের মাধ্যমে চোখ বান্ধব করে নিন।
চতুর্থত, ঘুমানোর স্থান শীতল রাখার চেষ্টা করুন। গরমে, মশা মাছি বা ছারপোকার জ্বালায় যে ঘুম ভালো হয় না তা বলাবাহুল্য।
পঞ্চমত, ঘুমাতে যাওয়ার আগে বই পড়াও একটি ভালো অভ্যাস। আপনার যদি ঘুম না আসে, তাহলে আপনি মজার কোনো বই পড়তে পারেন।
ইবাংলা /জেএন /২০মার্চ ২০২২