দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল ব্যুরো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়া উপজেলায় দেশের বৃহত্তম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে সারাদেশে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে আসবেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন এবং সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন, কারণ প্রতিটি ঘর বিদ্যুতে আলোকিত হয়েছে।’

গত ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশে এমন একটি অতি-আধুনিক বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ‘আমাদের সবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি পাওয়ার প্ল্যান্ট।’

বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করেছি, দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় এবং সারা বিশ্বে ১১তম দেশ হিসেবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে।

পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়, এটি ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করে।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে এ এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান হয়েছে।

তাছাড়া একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলও স্থাপনের কার্যক্রম চলামান রয়েছে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও আরও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে এবং এখানে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

মন্ত্রী আরও বলেন ‘এই অঞ্চলটি আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে একটি পাওয়ার হাবে পরিণত হবে’। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এএম খুরশেদুল আলম বলেন, কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিবেশ রক্ষা করে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে অতি-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে।

ইবাংলা/ ই/ ২১ মার্চ, ২০২২

Contact Us