যেসব এলাকায় ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো যাচ্ছে না সেখানে আমরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না, প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত হয়ে উঠবে।
সোমবার (২১ মার্চ) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের বৃহত্তম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সব স্থানে বিদুৎ সেবা পৌঁছানোর জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশের দুর্গম এলাকায় নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি।
আর সেসব এলাকায় ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো যাচ্ছে না সেখানে আমরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না, প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত হয়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ২১ বছর এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা সবসময় দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যায়, কিন্তু বাংলাদেশ সবসময় পিছিয়ে যাচ্ছিল। (৯৬ সালের আগে) ২১টা বছর এবং এরপরে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কোনও আন্তরিকতাই তাদের ছিল না; এটাই হচ্ছে এদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করার সময় বিদ্যুতের জন্য মানুষের হাহাকার ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত হবে, আজকে সেটি হয়েছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/ জেএন/ ২১ মার্চ, ২০২২