দীর্ঘ করোনা মহামারী কাটিয়ে সচল হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেনি কার্যক্রম। করোনার ধাক্কা মোকাবিলা এবং ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রমজানেও খোলা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
এই রমজানেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানান মতের সৃষ্টি হয়েছে কেউ কেউ চাচ্ছেন যেন অনলাইনে সচল থাকে পাঠদান কার্যক্রম। সরেজমিনে রোববার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন যায়গা ঘুরে দেখা যায় শিক্ষার্থী স্বল্পতা।
একদিকে প্রথম রোজা অন্যদিকে গরমে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী।তাই অনেক শিক্ষার্থীই আছেন যারা ক্যাম্পাসে আসতে কিছুটা অনীহা। সুদুর ধামরাই থেকে আসাযাওয়া করা অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান পরীক্ষা না থাকলে এই রোজায় কখনোই ক্যাম্পাসে আসতাম না।
এদিকে রমজান উপলক্ষে ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য নেই বিশেষ কোন ইফতারি আর সেহরির ব্যবস্থা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া থাকলেও তা রমজানে খোলা থাকবে কেবল রাত ১০টা পর্যন্ত।
৩ এপ্রিল ২০২২ ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে উল্লেখ করা হয় যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া আজ ৩ এপ্রিল থেকে আগামী ২ মে পর্যন্ত বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে তবে সেখানে করা যাবে না কোন সাংগঠনিক কার্জক্রম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান বলেন দীর্ঘ ২ বছর আমাদের জীবন থেকে ক্যাম্পাস লাইফের সময়টা এমনি চলে গেছে এই দুবছরে আমরা ক্যাম্পাসে এসে কিছুই করতে পারিনি এবার অন্তত প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই তারা যেন শিক্ষার্থীদের জন্য এই পবিত্র রমজান উপলক্ষে শিক্ষার্থী বান্ধব কিছু পদক্ষেপ নেয় শিক্ষার্থীরা যেন ভবিষ্যতে গল্প করতে পারে তারা ক্যাম্পাসে রোজায় কাটানো বিশেষ মুহুর্তগুলো।
জবি ক্যাফেটেরিয়া সহকারী ম্যানেজার তুষার আহমেদ এর সাথে রমজান উপলক্ষে ক্যাফেটেরিয়ার আয়োজন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন “প্রথম রমজান উপলক্ষে আমরা ২০০ থেকে ২৫০ জনের মানুষের ইফতার আয়োজন করতেছি যদি চাহিদা বাড়ে আমরা আমাদের আয়োজন বাড়াবো”।
ইফতারে আইটেমে কি কি থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোলা বুট,পিয়াজু,চপ,বেগুনি,২টা খেজুর, আপেল, শরবতের প্যাকেজ মূল্য প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শিক্ষার্থীদের চাহিদা মোতাবেক পরবর্তীতে মোরগ পোলাও,বিরয়ানীর আয়োজন করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা চাচ্ছেন ক্যাফেটেরিয়াতে যেন সেহিরির ব্যবস্থা থাকে তাহলে ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুটা কষ্ট লাগব হবে। যারা মেসে থাকেন তারা হয়তো সেহরিতে সেই দুপুরে রান্না করা খাবার খেয়েই রোজা রাখবেন, ক্যাফেটেরিয়া খোলা থাকলে সুবিধা হত বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
ইবাংলা/ টি এইচ কে/ ৩ এপ্রিল, ২০২২