হিজাব বিতর্কে জেলহাজতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
নওগাঁ প্রতিনিধি
মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পালের করা মামলায় এবার জেলহাজতে পাঠান হলো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণকে।
রোববার (১৭ এপ্রিল) নওগাঁ আমলী আদালত ৩ (মহাদেবপুর) এর হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালতে বিচারকে মো. তাইজুল ইসলাম জামিনের আবেদন নাকোচ করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুজন হলেন- দৈনিক নওরোজ ও দৈনিক ডেল্টা টাইমস পত্রিকার মহাদেবপুর উপজেলা প্রতিনিধি কিউ এম সাঈদ (৫০) ও মহাদেবপুর দর্পণ নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি সামসুজ্জামান মিলন (৩৮)।
নওগাঁয় হিজাব ইস্যুতে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ৭টি সুনির্দিষ্ট কারণ ও সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল হিজাবের কারণে নয়, নির্ধারিত স্কুল ড্রেস না পরার কারণেই শিক্ষার্থীদের মারধর করেছিলেন।
একই দিনে বদিউল আলম নামে আরেক শিক্ষকও মারধর করেছিলেন শিক্ষার্থীদের। অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করেন।
এই ঘটনাতদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্য মূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এছাড়া, প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
গুজব ছড়ান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, প্রধান শিক্ষক ধরনী কান্ত, শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দীর্ঘদিনের তৃমুখী দন্দ চলছিলো। যা গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, গুজব ছড়ানোর পেছনে স্থানী কিছু সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
ইবাংলা/ টিএইচকে/ ১৭ এপ্রিল, ২০২২