রাজধানীর নিউমার্কেটে সহিংসতায় নেতাকর্মীকে জড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। দলটির নেতাদের দাবি, আন্দোলন দমন করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
আর আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, হেনস্তা করার জন্য নয়; সম্পৃক্ততা রয়েছে দলটির স্থানীয় নেতাদের। দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এ সরকারের অধীনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
নিউমার্কেটে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বিএনপি নেতারা অভিযোগে করেন, চলমান আন্দোলনকে দমন করতেই এ পথ বেছে নিয়েছে সরকার।মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকা সরকারকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ’যারা গায়ের জোরে, বিনা ভোটে, রাতের আঁধারে ডাকাতি করে; তারা মূলত জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। সেই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে এ দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ’এ সরকার পুরোপুরিভাবে আমলাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর, কারণ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মূলত এটা সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যার ফলে তারা যখন এসব কথাবার্তা বলে তখন আমাদের কাছে হাস্যকর মনে হয়, জনগণের কাছে হাস্যকার মনে হয়।
এদিকে রাজধানীতে আলাদা আলাদা জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, হয়রানির জন্য নয় নিউমার্কেটের সহিংসতায় উসকানি ছিল স্থানীয় বিএনপি নেতাদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকট কামরুল ইসলাম বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিএনপির নেতারা যারা আছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন যারা করছেন, কোনো রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়; সেসব নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কোনো সময়ই হেনস্তা করছে না।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীর নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় যারাই জড়িত থাক, সে যে দলেরই হোক তার বিচার হবে। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা এ ঘটনায় ঘি ঢেলেছে।
বিএনপির আন্দোলন দমাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে নিউমার্কেটের ঘটনা ঘটিয়েছে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন, কেননা সরকার বিএনপির আন্দোলনে ভয় পায় না বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় বিএনপি জনগণের ইস্যু নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করুক, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করুক কিন্তু তাদের আন্দোলন যেন শুধু তারেক জিয়া-খালেদা জিয়াকেন্দ্রিক না হয়।
বিএনপির আন্দোলন কোন্ ঈদের পর হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সক্ষমতা বিএনপির আছে কি না, তা দেশবাসী দেখতে চায় বলেও জানান তিনি।
বিএনপির আন্দোলন করার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এখন যত কথাই বলুক; শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই নির্বাচনে আসবে দলটি।
ইবাংলা/এসআর /২৬ এপ্রিল, ২০২২