ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রতিবছরই এই রাস্তায় ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের চাপে তৈরি হওয়া দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।মহামারীর প্রকোপ কম থাকায় দুই বছর পর মানুষ এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে যানজট অনেকটা কমে যাবে।
এই বাস্তবতাকে ধরে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারে যানবাহনের চাপ বেশি থাকবে বলে মনে করেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক এশরাজুল হক।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে যানবাহনগুলো চারলেন সড়কের সুবিধায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু এলেঙ্গার পর থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুইলেন। চারলেনের যানবাহন দুইলেন সড়কে প্রবেশের সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। এবার এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোল প্লাজার কাছে গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার একমুখী (ওয়ানওয়ে) করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এলেঙ্গা থেকে এই সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলবে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে।পুলিশ সুপার আরও জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যাত্রীরা যানজটে আটকা পড়লে মহাসড়কের পাশে পেট্রোলপাম্প, হোটেল রেস্তোরাগুলোতে যাতে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারে সে জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের পাশে পাম্প, রেস্তোরা নেই। তাই ওই অংশে ২৫টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ইফতার ও সেহরিতে যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানজটে আটকে পড়া মানুষের মাঝে পানি, শুকনা খাবার সরবরাহের জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইবাংলা / জেএন / ২৭ এপ্রিল, ২০২২