রাশিয়া জ্বালানির মাধ্যমে ইউরোপকে ব্ল্যাকমেইল করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া শুধু গ্যাস নয়, যে কোনও বাণিজ্যকেই তারা অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে।
তিনি বলেন, ইউরোপ যখন বুঝতে পারবে বাণিজ্যে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করা অগ্রহণযোগ্য, তত দ্রুত ইউরোপের বাজারে স্থিতিশীলতার গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব হবে।এর আগে বুধবার (২৭ এপ্রিল) শর্ত মেনে না নেওয়ায় ইউক্রেনের মিত্র দেশ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।
মূলত ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি নিতে হলে ডলারের বদলে রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে অর্থ পরিশোধের ঘোষণা দেয় মস্কো। অন্যথায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে মস্কোর এমন শর্তে অস্বীকৃতি জানায় পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া। এরপরই এমন সিদ্ধান্ত নিল মস্কো।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। সূত্র : বিবিসি
ইবাংলা/এসআর/ ২৮এপ্রিল,২০২২