বেতাগীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :

বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সালাউদ্দীন মাহমুদ সুমনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইউপি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিকেল সাড়ে ৩ টায় তিনি শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে কাজিরাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী গভীর রাত পর্যন্ত উঠোন বৈঠক করছেন।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জানুয়ারি কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেলে কাজিরাবাদ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৫ জুন ওই ইউপিতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত সালা উদ্দিন সুমন প্রতিদিনই শতাধিক মোটরবাইক নিয়ে তার সর্মথিত নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করছেন। এছাড়া তার নির্বাচনী এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত উঠোন বৈঠক করছেন। অথচ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুসারে দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নিয়ম থাকলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী তা তোয়াক্কা করছেন না।

নির্বাচন কমিশনের ইউপি নির্বাচন আচরণবিধির ১৩/ক ধারা অনুযায়ী জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো প্রকার মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সুস্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন। বেতাগীর কাজিরাবাদ ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হওয়ায় সালাউদ্দীন মাহমুদ সুমন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনী কার্যক্রমকে ব্যাহত এবং প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও ভোটারদের চাপে রাখতে তিনি এসব কর্মকাণ্ড করছেন। বিষয়টি এরই মধ্যে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাউদ্দীন মাহমুদ সুমন মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কর্মীরা ভদ্রতার সঙ্গে শৃঙ্খলভাবে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে। আমরা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না।

কাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, আইন সবার জন্য সমান। কোন প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা লঙ্ঘন করার কোনো সুযোগ নেই। কোনো প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে প্রচার-প্রচারণা অবশ্যই আচরণবিধির লঙ্ঘন। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সুহৃদ সালেহীন জানান, এ ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ইবাংলা/টিএইচকে/১০জুন,২০২২

Contact Us