আজিয়ান সাগর ইস্যুতে গ্রিসকে ছাড় দেবে না তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আজিয়ান সাগরের ওপর কোন ধরণের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে গ্রীসকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) তিনি গ্রিসকে এ হুমকি দেন। খবর আল জাজিরার।

তুরস্কের ইজমির প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে চলছে সামরিক বাহিনীর যৌথ মহড়া। এতে অংশ নিয়েছে ৩৭টি মিত্র দেশের অন্তত ১০ হাজার সামরিক সদস্য। ‘ইএফইএস- টু থাউজেন্ড টোয়েন্টি টু’ নামে ওই মহড়ায় কসরত প্রদর্শন করে তিন বাহিনী। সেখানে অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র ও যুদ্ধযান ব্যবহৃত হয়।

সেখানেই এক ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানান, দখলদারদের একখণ্ড ভূমি ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী আজিয়ান সাগরের ওপর গ্রিসের প্রভাব ঠেকাবে।

এ সময় এরদোগান আরও বলেন, আজিয়ান সাগরের দ্বীপ নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানাচ্ছি গ্রিসকে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলুন। আমি কৌতুক করছি না, নিজ সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে বরাবরই সতর্ক তুরস্ক। আজিয়ানের ওপর কোনো অধিকার নেই গ্রিসের। সুতরাং দখলদারিত্বের স্বপ্ন থেকে দূরে থাকুন। সন্ত্রাসবাদ দমনেও তৎপর আমরা। সীমান্তে যেকোনো নাশকতা ঠেকাবে সেনাবাহিনী।

এর আগে বুধবার (০৮ জুন) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গ্রিসের সঙ্গে আর কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন না বলে কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় ৫ বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর দুই দেশের মধ্যে নানা ইস্যুতে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরদোগানের এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তা আবারও বন্ধ হতে চলেছে।

খবরের প্রতিবেদনে জানা যায়, ভূমধ্যসাগরে সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে গ্রিস ও তুরস্কের। এ সমস্যা নিরসনে দুই দেশ আলোচনায় বসলেও তাতে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে এরদোগান জানান, তার কাছে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিসের কোনো অস্তিত্ব নেই।

এরদোগানের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুরস্কের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাওয়া ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে গ্রিস। মিটসোটাকিস তার সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি তুরস্কের এফ-১৬ পাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন। উল্লেখ্য, তুরস্ক ও গ্রিস উভয় দেশই সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। সমুদ্রসীমা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ বহুদিনের।

ইবাংলা/টিএইচকে/১০জুন,২০২২

Contact Us