বৈশ্বিক শান্তি সূচকে এবার পাঁচ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের সর্বশেষ শান্তি সূচক অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬তম। আগের বছর ছিল ৯১তম। সে সময় ৯৭ তম অবস্থান থেকে সাত ধাপ এগিয়ে ৯১তম অবস্থানে আসতে পারলেও এবার অবনতি ঘটেছে।
বুধবার (১৫ জুন) সূচকের ১৬তম সংস্করণ প্রকাশ করে সিডনি-ভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস
শান্তির দিক দিয়ে মধ্যম বিভাগে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ শান্তিপূর্ণ দেশ। তবে দেশটির অবস্থান ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ওপরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে বিশ্বে সব অঞ্চলের মধ্যে শান্তিতে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। তবে এটি সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন শান্তিপূর্ণ অঞ্চলই রয়ে গেছে।
ভুটান দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ এবং বিশ্বব্যাপী ১৯তম অবস্থানে রয়েছে। ইউরোপ, এশিয়া-প্যাসিফিক এবং উত্তর আমেরিকার বাইরে জিপিআই-তে সর্বোচ্চ র্যাঙ্ক পেয়েছে দেশটি।
এ বছর বাংলাদেশকে সরিয়ে উপরে উঠে এসেছে শ্রীলঙ্কা। জিপিআই-এর পরিসংখ্যান তৈরির পরে শ্রীলঙ্কায় সংঘাত শুরু হয়। এবার শ্রীলঙ্কা (৯০তম) তার সামগ্রিক স্কোরে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ উন্নতি করেছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে নেপাল ৭৩তম, ভারত ১৩৫তম ও পাকিস্তানের ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ২০২২ সালের সংস্করণে ১-৫ স্কেলে ২.০৬৭ স্কোর করেছে। গত বছর দেশটির স্কোর ছিল ২.০৬৮। যে দেশের স্কোর যত কম, সে দেশ তত শান্তিময়। ২০২২ সালের সংস্করণটিতে ১৬৩টি স্বাধীন রাষ্ট্র ও অঞ্চলকে তাদের শান্তির স্তর অনুযায়ী পরিমাপ করে তালিকায় অবস্থান দেওয়া হয়েছে।
এই বছর আইসল্যান্ড আবারও বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে। দেশটি ২০০৮ সাল থেকে একই অবস্থানে রয়েছে। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয়, আয়ারল্যান্ড তৃতীয়, ডেনমার্ক চতুর্থ ও অস্ট্রিয়া পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।
টানা পঞ্চম বছর সবচেয়ে কম শান্তিপূর্ণ দেশ আফগানিস্তান (১৬৩তম)। দেশটির ঠিক উপরে অবস্থান করছে যথাক্রমে ইয়েমেন ১৬২তম, সিরিয়া ১৬১তম, রাশিয়া ১৬০তম ও দক্ষিণ সুদান ১৫৯তম অবস্থানে রয়েছে।
ইবাংলা /জেএন /১৬ জুন,২০২২