চীনের পশ্চিমে উন্মুক্তকরণের জানালা হলো সিনচিয়াং

ইবাংলা ডেস্ক রিপোর্ট :

এ কথা অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে যে, চীনের পশ্চিমে উন্মুক্তকরণের জানালা হলো সিনচিয়াং বেইজিংয়ে সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ৭৭তম বিশেষ প্রেস ব্রিফিং-এর আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে অঞ্চলটি চীনের পশ্চিমাঞ্চলের জানালা।

সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সরকারের মুখপাত্র সুই কুই সিয়াং বলেন, সিনচিয়াং হলো পূর্ব ও পশ্চিমা সভ্যতার বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। যা প্রাচীন রেশমপথের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, রেশমপথ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রীয় এলাকা।

গত ৪ থেকে ৯ জুলাই,২০২২ তুরস্ক, ইতালি ও কেনিয়াসহ ১৩টি দেশে চীনের বাণিজ্য খাতের প্রতিনিধিরা সিনচিয়াং পরিদর্শন করেন। তাঁরা সিনচিয়াংয়ের শিল্প ও বাণিজ্য মহলের জনগণের সঙ্গে ব্যাপকভাবে মতবিনিময় করেছেন।

আরও পড়ুন… চীনা পরিকল্পনায় রয়েছে প্রকৃতির সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা

সিনচিয়াং-এর পশ্চিমে উন্মুক্তকরণের পথ হলো উভয়ের কল্যাণের পথ, সভ্যতার মাধ্যমে পারস্পরিক শেখার পথ, উজ্জ্বল ও শান্তিপূর্ণ পথ। সিনচিয়াং ‘যৌথ আলোচনা, নির্মাণ এবং বিনিময়ের’ ধারণায় সক্রিয়ভাবে দেশ বিদেশে যোগাযোগ এবং পূর্ব-পশ্চিমে পারস্পরিক বিনিময়ের উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণের কাঠামো গড়ে তুলছে।

বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির আরো ঘনিষ্ঠতা জোরদার হয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বাড়ছে, উন্নয়নের সুযোগ আরো বেশি হচ্ছে। চীন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক।

এক প্রেস ব্রিফিং-এ সিনচিয়াংয়ের শিক্ষা খাতে আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতার স্থিতিশীল অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকারি মুখপাত্র সুই কুই সিয়াং বলেন, সিনচিয়াং বিষয়ে বিদেশে পাবলিক স্টাডি প্রচার চালিয়ে যেতে হবে।

২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান ও কানাডাসহ ২২টি দেশে অধ্যয়ন করতে মোট ৩৩৮জন শিক্ষার্থী পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া, ‘চীনের সিনচিয়াংয়ে অধ্যয়নের পরিকল্পনা’ চালু করা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সিনচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।

চীন ও বিদেশের সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষা খাত উন্নত করা যায় এবং স্থিতিশীলভাবে আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতা এগিয়ে যাওয়া যায়। বিদেশী ছাত্রদের অধ্যায়নের ফলে চীনা ও বিদেশী সংস্কৃতি আদান-প্রদান সহজতর হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মান বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশিদের সঙ্গে চীনা নাগরিকদের সুসম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। সূত্র:সিএমজি।

ইবাংলা/মআ/১৫ই জুলাই,২০২২

Contact Us