কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন ২০ হাজার টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট

জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় একটি হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে সেইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেরুল ইসলাম (৫০) ও মো. বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে (৫৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এই রায় ঘোষণা করা হলো। দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।

আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আ.লীগ নেতার মৃত্যু

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে তারিক, মোশাররফ হোসেনের ছেলে কামাল রেজা নিপু, আব্দুর রশিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মাসুদ, নবীর আলীর ছেলে রায়হান আলী এবং সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে সিদ্দিক (বাংলা ভাই)।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সিদ্দিক ছাড়া সবাই আদালতে উপস্থিত ছিল। রায় ঘোষণার পর পরই কারাদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সিদ্দিক পলাতক রয়েছেন।

এই মামলায় অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলার ১ নম্বর আসামী পলাতক থাকায় বাকী আসামীদের উপস্থিতিতেই এই মামলার রায় ঘোষনা করে আদালত।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথি সুত্রে জানাযায়, ২০০৯ সালের ১৫ আগষ্ট কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বাজারে একটি দোকানের পাশে বসে ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল ইসলাম, কলেজ শিক্ষক মোহনসহ আরো কয়েকজন।

আরও পড়ুন…মধ্যরাতে হলের সিট নিয়ে ইবিতে মারামারি

এসময় হঠাৎ মোটরসাইকেলযোগে ৭/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথারী গুলি ছোঁড়ে। এতে আওয়ামীলীগ নেতা মেহেরুল ইসলাম এবং কলেজ শিক্ষক মোহন মারা যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরো কয়েকজন। এই ঘটনার দুইদিন পর ভেড়ামারা থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে এই মামলায় তদন্ত শেষে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ২২ জুলাই মামলার চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজমখান। পরে ১৬ জনের সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত।

ইবাংলা/জেএন/২৪ জুলাই,২০২২

Contact Us