প্রবাসীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে প্রেমের সম্পর্কের পর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। দীর্ঘদিন প্রেম চলে প্রবাসী আব্দুর রহমানের (৩৩) সঙ্গে। আব্দুর রহমান কিছু দিন আগে বাড়িতে ফেরেন। এবার তাদের দেখা করার পালা। ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ডাকেন প্রেমিক। সেই আশ্বাসে সরল মনে বিশ্বাস করে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তরুণী। প্রথম দেখাতেই জোর করে ধর্ষণ করে প্রতারক প্রেমিক আব্দুর রহমান।
অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনায় প্রবাসী আব্দুর রহমানকে আসামি করে ঘাটাইল থানা মামলা করেন ধর্ষণের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে ভুক্তভোগী নারীর নিজ এলাকায় বিয়ে হয় এক যুবকের সাথে। বিয়ের ২-৩ বছরের মাথায় তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাকে তালাক দেন স্বামী। পরে মোবাইলে ইমো নাম্বারে পরিচয় হয় গোপালপুর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর প্রবাসী ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তাদের মধ্যে গড়ে উঠে গভীর প্রেম। যার ফলে অল্পদিন পরেই বিদেশ থেকে দেশে চলে আসেন আব্দুর রহমান। পরে তারা একত্রিত হলে প্রথম দেখাতেই প্রতারক প্রেমিক মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিয়ে করার কথা বলে ধর্ষণ করে পরে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে মেয়েটি মামলা করে। মামলার পর উপজেলা সদর এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাটাইল থানার এসআই আপেল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরোও জানা যায়, দীর্ঘদিন ইমোতে প্রবাসী আব্দুর রহমানের সঙ্গে প্রেম চলে ওই তরুণীর। সম্প্রতি প্রেমিক আ. রহমান দেশে আসেন। তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ থাকলেও সরাসরি তাদের সাক্ষাত হয়নি। ২৫শে সেপ্টেম্বর মধুপুর উপজেলা সদরে নিয়ে আসে ওই তরুণীকে ডেকে আনেন প্রেমিক। সেখান থেকে ঘাটাইল উপজেলার উত্তর খিলগাতি গ্রামের তুলা মিয়ার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।