শেষ শ্রদ্ধা সর্বশেষ সোভিয়েত নেতা গর্বাচেভকে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ছাড়াই সম্পন্ন হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান।০৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই মস্কোর ঐতিহাসিক ‘হল অব কলামসে’ গর্বাচেভকে সারিবদ্ধভাবে হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
খবর আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, শনিবার মস্কোর ঐতিহাসিক হল অব কলামসে রাখা হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের সবশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভের মরদেহ।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
শেষ বিদায় জানাতে শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে জড়ো হাজারো মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। তবে উপস্থিত হননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, দুর্ভাগ্যবশত প্রেসিডেন্টের কাজের সূচির কারণে শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেননি। যদিও গেল ০১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতাল সফর ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গর্বাচেভের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পুতিন।
আরও পড়ুন…রাজধানীতে ফিল্মি স্টাইলে ছুরিকাঘাত
গেল ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার রাশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ২০ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ মিখাইল গর্বাচেভ।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।মৃত্যুর কারণ হিসেবে ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গুরুতর ও দুরারোগ্য রোগে’ ভুগে তিরি মারা গেছেন। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোতেও এ কথাই বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন…বিক্রিকালে ৯ শতাধিক ইয়াবাসহ যুবক আটক
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সবশেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের মৃত্যুর কারণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধের ‘শোকে’ মারা গেছেন তিনি। গর্বাচেভের এক সহকারী এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সোভিয়েত নেতা রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের কারণে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন’।
১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে গর্বাচেভ গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়নকে নতুন রূপে হাজির করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ডেকে আনেন।
আরও পড়ুন…জামায়াত পুত্র হাশেম রেজার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটাতে তার অবদানের জন্য মানুষ তাকে স্মরণ করে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে।
রক্তপাতহীন স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোয় পশ্চিমা বিশ্বের কাছে দারুণ সমাদৃত ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সবশেষ এই নেতা। যদিও সোভিয়েত ইউনিয়েনের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় রাশিয়ার অনেকে কাছেই তিনি ‘খলনায়ক’।
ইবাংলা/তরা/৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.