জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়(জবি) আইটি সোসাইটি কর্তৃক অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যাপ শোক্যাসিং কম্পিটিশন “ব্রেইন চাইল্ড : সিজন 1.0”। জবি’র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই অ্যাপ শোক্যাসিং কম্পিটিশন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় চলে এ অ্যাপ প্রদর্শনী। রেজিস্ট্রেশন করা সবগুলো দলের মধ্যে প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বে অ্যাপ প্রদর্শনের সুযোগ পায় ছয়টি টিম। সেগুলো হলো :
1. Team Guider
2. Team Recycle Bin
3. Team Coin Bank Wallet
4. Team E-complaint
5. Team Accelerator
6. Team Green Doctor
প্রজেক্ট শোকেসিং :
অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রকল্পগুলি ছাত্র, শিক্ষক এবং বিচারকদের সামনে প্রদর্শন করে এবং তাদের শোকেস করা অ্যাপগুলির সুযোগ সুবিধাসমূহ বর্ণনা করে। তাছাড়া প্রতিযোগীরা তাদের প্রকল্পের অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করে এবং বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে অ্যাপের ফলাফল এবং কার্যকারিতা উপস্থাপন করে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে পরিদর্শনে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সোসাইটি মেন্টর ও সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য সহ একই বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ‘ব্রেইনচাইল্ড : সিজন ১.০’ প্রোগ্রামে বিভিন্ন ইনোভেটিভ আইডিয়া ও অ্যাপসগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে। তাছাড়া এবছর শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে আমরা এটিকে জাতীয় পর্যায়ের নিয়ে যাওয়ার জন্য আশাবাদী।”
জবি আইটি সোসাইটি’র সভাপতি শামীম আহমেদ জানান, “আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই ‘ব্রেইন চাইল্ড : অ্যাপস শোক্যাসিং কম্পিটিশন’ করছি আমরা। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে সে দেশগুলোই এগিয়ে থাকবে যারা তথ্যপ্রযুক্তিতে বেশি উন্নত। তাই তথ্যপ্রযুক্তিতে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করার জন্য এমন প্রোগ্রামের বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি”।
আরও পড়ুন…SciFinder এর উদ্বোধন ও বেসিক ট্রেইনিং অনুষ্ঠিত
তাছাড়া সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমন মিয়া বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে আইটি সম্পর্কিত জ্ঞান এবং উদ্ভাবনী সবচেয়ে জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মেধা, মনন ও প্রতিভা বিকাশের স্থান এবং জবি আইটি সোসাইটি সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আইটি বিষয়ক প্রতিভা বিকাশে কাজ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘ব্রেইন চাইল্ড : সিজন ১.০’ এর আয়োজন করা হয়েছে যাতে অ্যাপস বিষয়ক উদ্ভাবনগুলো সবার কাছে পৌঁছানো যায়”।
সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ হোসেন রনি বলেন, “সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা পালন করছে। অ্যাপ তৈরিতেও অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি আয়োজন করেছে এ ধরনের অ্যাপ শোক্যাসিং কম্পিটিশন।”
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য থাকছে নগদ প্রাইজ মানি, ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট। রানার্সআপ দলের জন্য থাকছে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। তাছাড়া সকল প্রতিযোগীদের জন্য থাকছে অন্যান্য পুরস্কার ও সার্টিফিকেট। সব মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকার পুরস্কার থাকছে সকলের জন্য। খুব শীঘ্রই প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন…প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কটূক্তি: প্রবাসী যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
উল্লেখ, গত ২৬ জুলাই ২০২২ থেকে শুরু হয় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রতিযোগীদের রেজিষ্ট্রেশন। যা চলমান থাকে ৭ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত। প্রতি দলে ছিলো ৩ জন মেম্বার এবং রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত ছিলো ৩০০ টাকা।প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহী অনেকগুলো দলের মধ্যে ছয়টি দল ফাইনাল প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
ইবাংলা/জেএন/০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.