খেজুরের জিনগত বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর পামস এন্ড ডেটস নামক সংস্থা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ১২৭টির বেশি জাতের খেজুর জিন ব্যাংকে সংরক্ষণ করছে।
আল আহসা খেজুর জিন ব্যাংকের পরিচালক খালিদ আল হুসেইনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আল আহসার কেন্দ্রটি খেজুরের জাতের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ করছে। ২০২৭ সালের মধ্যে নিবন্ধিত খেজুরের জাত ২০০তে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’ সৌদি আরবে প্রায় ৩ কোটি খেজুর গাছ রয়েছে। সেদেশে বছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টন খেজুর উৎপাদন হয়।
আল-হুসেইনি জানান, খেজুর ব্যাংকের নিবন্ধিত বেশিরভাগ জাতই সৌদি আরবের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মরুর মাটি বেশিরভাগ জাতের জন্য উপযুক্ত। তবে অন্যান্য কিছু জাত আমেরিকা, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া এবং ইরাক থেকেও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
আল হুসেইনি আরব নিউজকে বলেন, খেজুর ব্যাংকের লক্ষ্য সৌদি আরবসহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বীজ সংরক্ষণ করা— বিশেষ করে বিরল ও বিপন্ন জাতের খেজুর বীজ সংরক্ষণ ও গবেষণা করা।। এসব জাত কতটা জলবায়ু ও মাটির জন্য কতটা মানানসই তা নির্ধারণের জন্য বীজের উপর শরীরবৃত্তীয় এবং গঠনগত গবেষণা করে থাকে এ কেন্দ্র।
জলবায়ু পরিবর্তজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী ফসলের জাত ও উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনেক জাতের ফসল বিলুপ্ত হওয়ার পথে। সৌদি আরবের খেজুর জিন ব্যাংক খেজুরের বিভিন্ন জাত রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আল-হুসেইনি বলেন, বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য খেজুরের জাতের একটি ডাটাবেস তৈরির কাজ করছে কেন্দ্র। জেনেটিক বীজ ব্যাংকটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১০০টির বেশি গবেষণা পরিচালনা করেছে। এসব গবেষণা খেজুরের নানা জাত সংরক্ষণ ও উন্নতিতে অবদান রাখছে।