সম্প্রতি মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল ক্রুজে রেভ পার্টি থেকে আটক করা হয় শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে। একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলায় আরিয়ানের দুই সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই আলোচনায় আসে আরিয়ান ও মুনমুন। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে এই মুনমুন? আরিয়ানের সঙ্গে তার সম্পর্কও বা কি? আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
জানা গেছে, মুনমুন ধামেজা পেশায় মডেল। বয়স ৩৯। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা তিনি। সেখানেই মূলত বড় হওয়া। মুনমুনের এক ভাইও রয়েছে। তিনি থাকেন দিল্লিতে। এরপর পেশার জন্য প্রথমে ভোপাল এবং পরে দিল্লিতে চলে আসেন মুনমুন। প্রথমে থাকতেন ভাইয়ের সঙ্গে।
মডেলিং জগতের পাশাপাশি মুনমুন ইনস্টাগ্রামেও সুপারহিট। তার ফলোয়ারের সংখ্যাও প্রচুর। মুনমুনের ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলে দেখা যায়, ভিকি কৌশল, মিকা সিং, অক্ষয় কুমারের মতো তারকাদের সঙ্গে ছবি রয়েছে তার।
শনিবার গভীর রাতে কর্ডেলিয়া নামের বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরিয়ান ও তার সঙ্গীদের। শোনা গিয়েছে, এনসিবি’র জেরায় প্রথমে যদিও মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেননি আরিয়ান। পরে যদিও জেরার মুখে ভেঙে পড়েন তিনি। জানান, চার বছর ধরে মাদক নেন শাহরুখপুত্র। দুবাই, লন্ডনে গিয়েও মাদক নিয়েছেন তিনি।
এনসিবি কর্মকর্তারা আরিয়ানের লেন্সের কৌটো থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ঘটনায় ধৃত মুনমুন ধামেচার স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং অন্তর্বাস থেকে প্রচুর পরিমাণ মাদক পেয়েছেন কর্মকর্তারা।
শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭, ৮সি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সোমবার আদালতে তোলার আগে ধৃত তিনজনের মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়। ঘটনার পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া। এক পক্ষ শাহরুখ খানের সমালোচনা করেছে, অন্য পক্ষ বলিউড বাদশার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আরিয়ানের গ্রেপ্তারের খবর পেয়েই মাঝরাতে মান্নাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সালমান খান। মনে করা হচ্ছে শাহরুখ ও গৌরীকে স্বান্ত্বনা দিচ্ছেন তিনি। এদিকে শুটিংয়ের জন্য নাকি স্পেনে যাওয়ার কথা ছিল শাহরুখের। কিন্তু আচমকা ছেলের গ্রেপ্তারের সে পরিকল্পনা বাতিল করেছেন শাহরুখ।
রোববার আরিয়ানের এক দিনের এনসিবি হেফাজতের খবরে অনেকেই মনে করেছিলেন, সোমবার জামিন পেয়েই যাবেন কিং খানের ছেলে। কিন্তু তা হলো না। আরও কয়েকটা দিন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে থাকতে হবে আরিয়ানকে।