বরগুনায় হঠাৎ করে বেড়েছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা। প্রতিবছর গ্রীষ্মে ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে এ রোগের দেখা মিললেও এবার শরতে বেড়েছে এর প্রকোপ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বেতাগী উপজেলায়। শিশু, বয়স্ক সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে এ রোগে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন চোখের প্রদাহ রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
আরও পড়ুন…সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি
আক্রান্তরা জানান, বেতাগী হাসপাতালসহ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে চোখের তেমন কোনো চিকিৎসক ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। তাই ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বাইরের ফার্মেসি থেকে ড্রপ কিনে তারা চোখে ব্যবহার করছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘চোখ ওঠা’ রোগটি মূলত ছোঁয়াচে ও ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। কনজাংটিভাইটিস বা ‘রেড/পিংক আইও’ বলা হয় এ রোগকে। আক্রান্তদের কারও কারও চোখ ওঠা তিনদিনে ভালো হয়ে যায়। আবার অনেকের তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
চোখের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত আসাদ তালুকদার বলেন, আমার চোখ লাল হয়ে আছে। সঙ্গে চুলকানি। সকালে দুই চোখ আটকে থাকে। পানি দিয়ে অনেকক্ষণ পরিষ্কার করে চোখ খুলতে হয়। আক্রান্ত মো. কাশেম বলেন, চোখের এ সমস্যার জন্য সরকারি হাসপাতালে তেমন কোনো চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাইরের একটি দোকান থেকে ড্রপ কিনে ব্যবহার করছি। এখন মোটামুটি ভালো আছি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব হোসেন বলেন, সম্প্রতি সারা দেশেই চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে এ সময় একটু সচেতন থাকলে ভয়ের কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, কেউ আক্রান্ত হলে তাকে বাড়িতে থাকা উচিত। তবে বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে গেলে চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে।
ইবাংলা/জেএন/০৩ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.