চলতি অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংক খাত থেকে ঋণ না নিয়ে উল্টো পরিশোধ করছিল সরকার। সেপ্টেম্বরে এসে সে চিত্র পাল্টে যায়। হঠাৎ করে বেশি বেশি ঋণ নেওয়া শুরু করে সরকার। এক মাসে ব্যাংকিং খাত থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিতে হয়েছে সরকারকে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে অর্থবছরের শুরুর দিকে সরকারের অর্থের চাহিদা কম ছিল। এখন কিছু প্রকল্প চালু হয়েছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব বাজারে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়েছে। ফলে সরকারের খাদ্য ও জ্বালানি আমদানিতে আগের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হচ্ছে। যে হারে খরচ বেড়েছে সেই হারে আয় না বাড়ায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন…বিরোধী দলের সমাবেশে বাধা সরকার অঘোষিত হরতাল
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, ২৯ সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া সরকারের
ঋণ-এর স্থিতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকায়। এক মাস আগে গত ৩০ আগস্ট এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ১৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা।
হঠাৎ করে সরকারের ঋণ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকারের খরচ বেড়েছে। ব্যয়ের চেয়ে আয় কম হওয়ায় বাড়তি অর্থের চাহিদা মেটাতে এখন ব্যাংক থেকে ঋণ করছে। তবে সরকার তিন মাসে যে পরিমাণ ব্যাংক ঋণ নিয়েছে তা তাদের লক্ষ্যের চেয়ে বেশি নয়। তাই এ ঋণ নিয়ে তেমন শঙ্কারও কারণ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ না নিয়ে উল্টো পরিশোধ করেছিল সরকার। গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাসে ব্যাংক থেকে সরকারের নিট ঋণ ৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা কমে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকায় নেমে আসে। গত অর্থবছরের শেষে স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।
ইবাংলা/জেএন/১৬ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.