বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গরিব দেশগুলো প্রয়োজনীয়সংখ্যক টিকা পাচ্ছে না। আফ্রিকার জনগোষ্ঠী এ পর্যন্ত ৫ শতাংশ টিকা পেয়েছে। আফ্রিকার তুলনায় অন্য মহাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রুস আইলওয়ার্ড বলেছেন, করোনা সংকট কেবল টিকার অপর্যাপ্ততা ও সুষ্ঠ বণ্টনের কারণেই দীর্ঘায়িত হবে। এর ফলে করোনা মহামারি ২০২২ সালেও ব্যাপকভাবে থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, গরিব দেশগুলোতে ধীরগতিতে টিকা পাচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘায়িত হবে করোনা সংক্রমণ।
এদিকে যেসব দেশ টিকা সংকটে রয়েছে তাদের মোট ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: করোনায় বিপর্যস্ত রাশিয়া, কর্মস্থল বন্ধ ঘোষণা
ব্রুস আইলওয়ার্ড ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো টিকা সরবরাহে গরিব দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জি-৭ সম্মেলনে গরিব দেশগুলোতে টিকাদানের বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিল ধনী দেশগুলো। এখন ধনী দেশগুলোর উচিত গরিব দেশগুলোতে টিকা সরবারহ নিশ্চিত করা।
সারা বিশ্বে টিকা প্রয়োগের গতি না বাড়লে করোনার সংকট মারাত্মক হবে বলে সতর্ক করেন ব্রুস আইলওয়ার্ড।
বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ২৪ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৩ জন ও মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৫ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৪৮ হাজার ১৪ জন।