আমাদের দেশে নব্বই দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয় ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘আলিফ লায়লা’। ওই সময়ে দর্শকদের মাঝে দারুণ আলোড়ন তুলেছিল এটি। প্রতি শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর অপেক্ষায় থাকতেন দর্শকরা।
এই সিরিজের নাবিক সিন্দাবাদের চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ান বলিউড অভিনেতা শাহনাওয়াজ প্রধান। পর্দার সেই সিন্দাবাদ বাস্তবে মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি মুম্বাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ‘ইন্ডিয়া টুডে’র খবরে এই তথ্য জানা গেছে। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
জানা গেছে, অভিনেতা শাহনেওয়াজ প্রধান শুক্রবার পুরস্কার নিতে মুম্বাইয়ের একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন । অনুষ্ঠান চলাকালে তিনি হঠাৎ বুকে প্রচণ্ড ব্যথার কথা বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি জ্ঞান হারান। তাকে এ সময়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন…হত্যার সুষ্ঠ বিচার পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
অভিনেতা শাহনেওয়াজ প্রধানের অনেক আগেই হৃদরোগ ধরা পড়েছিল। সম্প্রতি তার বাইপাস সার্জারি করা হয়েছিল। অভিনেতা শাহনেওয়াজ প্রধান ছোটপর্দা ও চলচ্চিত্রে সমানতালে অভিনয় করেছেন। মঞ্চেও তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে সতীর্থরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রদেশের রায়পুরে জন্মগ্রহণ করেন শাহনাওয়াজ প্রধান। অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য টিভি সিরিজ ও বলিউড সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুন…হত্যার সুষ্ঠ বিচার পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘ফ্যান্টম’, ‘রইছ’ প্রভৃতি। তার অভিনীত ‘মির্জাপুর’ ওয়েব সিরিজটিও দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
শাহনাওয়াজ প্রধান অভিনীত ‘আলিফ লায়লা’ টিভি সিরিজটি ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা সাগর এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত হয়। এটি প্রযোজনা করেন সুভাষ সাগর। সিরিয়ালটি নির্মাণ করেন আনন্দ সাগর, প্রেম সাগর ও মতি সাগর।
১৯৯৩ সালে তিন শতাধিক পর্বের সিরিয়ালটি হিন্দি ভাষায় ভারতীয় চ্যানেল দূরদর্শন ন্যাশনালে প্রচার হয়। এরপর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিরিয়ালটি বাংলায় ডাবিং করে ঢাকা পাঠায়। বিটিভিতে প্রচারের পর তুমুল আলোচিত হয় এটি।
আরও পড়ুন…অলঙ্ঘনীয় দেয়াল ভেঙে সম্প্রীতির সেতু তৈরি করতে হবে : কাদের
উল্লেখ্য, অভিনেতা শাহনেওয়াজ প্রধান শাহরুখ খানের ‘রইস’, সাইফ আলী খানের ‘ফ্যান্টম’, ওয়েব সিরিজ ‘মির্জাপুর’-এ অভিনয় করেছেন ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেন। তার মৃত্যুতে ভারতের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ইবাংলা/ জেএন/১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.